নারায়নগঞ্জে ইটভাটা মালিক-শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি
Published: 11th, March 2025 GMT
ইটভাটায় প্রশাসনের অভিযানের প্রতিবাদে প্রধান উপদেষ্টা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে নারায়নগঞ্জের ইটভাটা মালিক- শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইট ভাটার সাথে শত শত শ্রমিক জড়িত। তারা ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে, জিগজাগ ইটভাটায় পরিদর্শনের নামে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে আসছে। সেই সাথে মোবাইল কোর্টের নামে জরিমানা, ভোল্ডার মেশিন দিয়ে প্রস্তুতকৃত ইট ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানান। ইট ভাটায় এই সকল হয়রানি বন্ধ না হলে ঈদের পর বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ারও হুশিয়ারি দেন ।
নারায়নগঞ্জের ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি মমিন খান বলেন, বিভিন্ন ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট, জরিমানা ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। এমনকি অভিযানের নামে ইটভাটায় গিয়ে হয়রানি করছে।শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমরা সরকারকে নিয়মিত ভ্যাট দেই। তাই ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে লক্ষ লক্ষ মালিক শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। না খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকবে তাদের পরিবার।আর এই সকল অভিযান বন্ধ করতে প্রধান উপদেষ্টা এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
নারায়নগঞ্জ ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এর পূর্বে সকাল ১১ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদে কয়েকশ ইটভাটা মালিক ও শ্রমিক নিয়ে বিক্ষোভ করে।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা ইট প্রস্তুতকারী সমিতির সভাপতি মমিন খান, শাহাদাৎ হোসেন, আব্দুল আজিজ দেওয়ান, সলিমুল্লাহ, মোক্তার হোসেন ভূইয়া, আমানুল্লাহ আমান, গিয়াস উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, কবির হোসেন, সাইদুল ইসলাম, মনির হোসেন, সুমন মিয়া, মিজানুর রহমানসহ প্রমুখ।
বিক্ষোভ শেষে জিগজাগ ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ এ বর্ণিত জিগজাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনের জন্য ৬ দফা দাবিতে নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয় ইটভাটা মালিকরা।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়নগঞ জ উপদ ষ ট ইটভ ট য়
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।