সদ্য প্রয়াত চিকিৎসককে জয় উৎসর্গ করল বার্সা
Published: 12th, March 2025 GMT
বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড রাফিনহা বলেছেন, দলের চিকিৎসক কার্লেস মিনারোর মৃত্যু শোক খেলোয়াড়দের জয়ের জন্য শক্তি জুগিয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ, ২০২৫) চ্যাম্পিয়নস লিগে বেনফিকার বিপক্ষে দারুণ একটা জয় পায় কাতালান ক্লাবটি।
ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনহার জোড়া গোলে বার্সেলোনা ৩-১ ব্যবধানে জয়লাভ করে বেনফিকার বিপক্ষে। তবে এই ম্যাচে কাতালান ক্লাবটির তরুণ উইঙ্গার লামিল ইয়ামাল একাই বেনফিকার নাভিশ্বাস তুলেছিলেন। এই ১৭ বছর বয়সী উইঙ্গার ছিলেন একটা মাইলফকও। দুই লেগ মিলিয়ে বার্সা ৪-১ গোলের আগ্রিগেটে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যায়।
ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১১ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে বেনফিকার ডি বক্সে ঢুকে যান ইয়ামাল। রাফিনহার কেবল ট্যাপ-ইন করে গোলটা করলেন। তবে মিনিট দুয়েক পরই কর্নারে দুর্দান্ত এক হেড করে আর্জেন্টাইন তারকা নিকলাস ওতামেন্দি সমতায় ফেরান বেনফিকাকে।
আরো পড়ুন:
দশ জনের বার্সার বিপক্ষে হারল বেনফিকা
পয়েন্টে শীর্ষে বার্সা, গোলে লেভানডোফস্কি
এরপর একের পর এক আক্রমণে বেনফিকার ডিফেন্সে কাঁপুনি ধরিয়ে দেন ইয়ামাল। বেনফিকার সুইডিশ লেফট ব্যাক স্যামুয়েল দাহল কোনোভাবেই আটকাতে পারছিলেন না ইয়ামালকে। ম্যাচের ২৭ মিনিটে ইয়ামাল আবারও এগিয়ে দেন স্বাগতিকদের। এই গোলের মাধ্যমে দারুণ একটা রেকর্ড গড়ে ফেললেন সদ্যই কৌশর পেরিয়ে আসা এই উইঞগার। চ্যাম্পিয়নস লিগে একই ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করা সর্বকনিষ্ট ফুটবলার এখন ইয়ামাল; যার বয়স মাত্র ১৭ বছর ২৪১ দিন। ম্যাচের ৪২ মিনিটে নিজের জোড়া পূরণ করেন রাফিনহা। এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ১১ গোল করেছেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।
এই জয়ের মাত্র তিন দিন আগে বার্সার চিকিৎসক মিনারো মৃত্যুবরণ করেন। মাত্র ৫৩ বছর বয়সী মিনারোর মৃত্যুর কারণ এখনও অফিসিয়ালি ঘোষণা করা হয়নি। তবে ম্যাচটা চিকিৎসককে উৎসর্গ করতে ভুল করলেন না রাফিনহা, “কার্লেসের মৃত্যুর পর আমরা এই ম্যাচে জয়ের সংকল্প নিয়ে এসেছিলাম।”
ম্যাচে বার্সার পারফরম্যান্সের ব্যাপারে বলতে গিয়ে রাফিনহা আরো যোগ করেন, “বেনফিকা খুব ভালো দল, আমি জানতাম তারা ভালো ট্রানজিশন তৈরি করে, কিন্তু ম্যাচে আমরাই বল নিয়ন্ত্রণ করেছি, এমনকি খেলাটাও। আমরা আরও গোল করতে পারতাম। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পেরেছি বলে আমরা খুশি যে আমরা।”
বার্সেলোনার কোচ হানসি ফ্লিকও এই জয়টি মিনারোর স্মৃতিতে উৎসর্গ করেন, “আমি ম্যাচের আগে বলেছিলাম যে আমরা কার্লেসের স্মৃতিকে সম্মান জানাতে চাই। কার্লেস সবসময় আমাদের সাথে থাকবে। সে আমাদের দলের একটা অংশ ছিল।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ য ম প য়নস ল গ উইঙ গ র
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসককে মারধর করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা
দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মশিউর রহমানকে মারধর ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. মামুনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত অবস্থায় মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমানের উপর হামলা চালান মামুনসহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল।
মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান বলেন, ‘‘হাসপাতালে ফারুক ও তার স্ত্রী ১২ থেকে ১৩ দিন ধরে ভর্তি আছেন। তাদের সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এখন তারা সুস্থ। তাদের আজকে রিলিজ দিতে চেয়েছি কিন্তু তারা রিলিজ নিতে চান না। এ বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আমার বাগবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে মামুনসহ ১০ থেকে ১২ জন এসে আমার উপর আক্রমণ করেন। মামুন আমার মুখে কিল-ঘুষি মারেন এবং সবাই আমার গলা চেপে ধরে বাহিরে নিয়ে যান। আমার মোবাইল ফোনও তারা কেড়ে নেন।’’
আরো পড়ুন:
অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা
সাভারে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন, দগ্ধ দম্পতি হাসপাতালে
হাকিমপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুন বলেন, ‘‘ডা. মশিউর রহমান আমাকে ধাক্কা দেন। তখন এ ঘটনা ঘটে। তবে আমি তাকে মারিনি। আমার সঙ্গের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।’’ মশিউর রহমানের মোবাইল ফোন তখনি ফেরত দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হাকিমপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘‘হাসপাতালের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। অভিযুক্ত মামুনকে চিকিৎসকদের সামনে মারধর করেছি। বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে।’’
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।’’
হাকিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘‘হাসপাতালের ঘটনা অবগত হয়েছি। হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. আসিফ ফেরদৌস বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে উপজেলা বিএনপির নেতারা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো।’’
ঢাকা/মোসলেম/বকুল