কেইনের মাইলফলক ছোঁয়ার রাতেপাত্তা পেল না লেভারকুজেন
Published: 12th, March 2025 GMT
গত মৌসুমে বেয়ার লেভারকুজেনের কাছে বুন্দেসলিগা শিরোপা খোয়ানোটা অহংয়ে লেগেছিল বায়ার্ন মিউনিখের। এবার অবশ্য জার্মান লিগে বেশ এগিয়েই আছে বাভারিয়ানরা, তবে লিগ শিরোপা নিশ্চিত হতে আরও মাস দুয়েক লাগবে কমপক্ষে। এদিকে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো যখন ড্র হলো তখন সম্ভবত সবচেয়ে বেশি খুশি ছিল ভিনসেন্ট কোম্পানির বায়ার্ন। অবশেষে তারা একটা দারুণ সুযোগ পেল লেভারকুজেনের বিপক্ষে পুরোনো হিসেব চুকানোর।
দুই জার্মান ক্লাবের শেষ ষোলোর মহারণ অবশ্য প্রথম লেগেই কিছুটা রফাদফা হয়ে যায়। ঘরের মাঠ অলিয়েঞ্জ এরিনাতে ৩-০ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠা অনেকটাই নিশ্চিত করে রাখে বায়ার্ন। আর মঙ্গলবার (১১ মার্চ, ২০২৫) দিবাগত রাতে ফিরতি লেগে লেভারকুজেনকে ২-০ গোলে হারিয়ে অ্যাগ্রিগেটে ৫-০ ব্যবধানে সেহষ আটে উঠার আনুষ্ঠানিকতা সারল বায়ার্ন।
লেভারকুজেনের মাঠ বে এরিনাতে প্রথমার্ধ গোল শূন্য কাটে। বিরতির পর ম্যাচের ৫২তম মিনিটে গিয়ে গোল ক্ষরা কাটান ইংলিশ সুপারস্টার হ্যারি কেইন। ম্যাচের ৭১ মিনিটে আলফানসো ডেভিস যে গোলটি করলেন, সেখানেও অ্যাসিস্ট ছিল কেইনেরই। মূলত তার বানিয়ে দেয়া বলে এক টাচেই লেভারকুজেনের জালে জড়ান ডেভিস।
আরো পড়ুন:
সেল্টিকের মাঠে জিতে এগিয়ে গেল বায়ার্ন
চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৮ ম্যাচের মহারণ, দলগুলোর শেষ সমীকরণ
গতরাতে কেইন গোল করে বনে যান প্রথম ইংলিশ ফুটবলার, যিনি ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এক মৌসুমে ১০ গোল করার রেকর্ড গড়লেন। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক এই মৌসুমে বায়ার্নের জার্সিতে ৩৬ ম্যাচে ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন ৩২ গোল ও ১১ অ্যাসিস্ট। ৩১ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বায়ার্ন ম্যানেজার।
কোম্পানি বলেন বয়সের সঙ্গে ধার বেড়েই যাচ্ছে কেইনের, “এটা সাহায্য করে যখন আপনার কাছে এমন একজন শীর্ষ খেলোয়াড় থাকে। যে কিনা প্রয়োজনে একদম তরুণ খেলোয়াড়ের মতো দৌড়ায় এবং লড়াই করতে চায়। খেলোয়াড় হিসেবে আমি তার (কেইন) বিপক্ষে খেলেছি। বয়সের সঙ্গে আরও ভালো হয়েছে সে।”
বায়ার্নে যোগ দেওয়ার এখন দুই বছর পুর্তি হয়নি কেইনের। এর মাঝেই করে ফেলেছেন ৭৬ গোল ও ২৩ অ্যাসিস্ট। তাই তো জার্মান ক্লাবটির ৩৮ বছর বয়সী বেলজিনা কোচ জানালেন তার অগাধ বিশ্বাস আছে কেইনের উপর। কোম্পানি বলেন, “পারফরম্যান্স নিয়ে কাজ করার জন্য তার নিজস্ব একটা উপায় আছে। আমি তার ধারাবাহিকতায় বিশ্বাস করি। একই সাথে বিশ্বাস করি তার খেলার প্রতি ও কাজের প্রতি।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ য ম প য়নস ল গ ক ইন র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের প্রথম ৫ লাখ কোটি ডলারের কোম্পানি এনভিডিয়া
চিপ কোম্পানি এনভিডিয়ার অগ্রযাত্রা চলছেই। এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির প্রাণভোমরা হচ্ছে এই চিপ। ফলে এনভিডিয়ার ব্যবসায়িক বিকাশই এখন প্রযুক্তি খাতের স্বাভাবিক ঘটনা। সে সুবাদে কোম্পানিটি একের পর এক সমৃদ্ধির মাইলফলক অর্জন করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
সফলতার ধারাবাহিকতায় জেনসেন হুয়াং প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি গত বুধবার বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম কোম্পানি হিসেবে ৫ ট্রিলিয়ন বা ৫ লাখ কোটি মার্কিন ডলারের বাজার মূলধনের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেসের।
বাজার মূলধন ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে ওঠার খবরে বুধবার এনভিডিয়ার শেয়ারের দর ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে যায়। এই দাম বাড়ার ফলে দিন শেষে কোম্পানিটির বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক শূন্য ৩ ট্রিলিয়ন বা ৫ লাখ ৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
এক মাইলফলক থেকে আরেক মাইলফলক অর্জন করতে এনভিডিয়ার তেমন একটা সময় লাগছে না। ২০২৩ সালের জুন মাসে কোম্পানিটি প্রথম এক ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি ডলারের বাজার মূলধনের মাইলফলক স্পর্শ করে। তার ২৯ মাসের মাথায় কোম্পানিটি ৫ লাখ কোটি ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল।
এক লাখ কোটি ডলারের বাজার মূলধন থেকে দুই লাখ কোটি ডলারে পৌঁছাতে এনভিডিয়ার সময় লেগেছিল ১৮০ দিন। এরপর দুই লাখ কোটি ডলার থেকে তিন লাখ কোটি ডলারে যেতে লেগেছে মাত্র ৬৬ দিন। সর্বশেষ চার লাখ কোটি ডলার থেকে পাঁচ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৭৮ দিন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উত্থানের ঢেউয়ে চেপে এগিয়ে চলেছে এনভিডিয়া—যে প্রবণতা শুরু হয়েছে ২০২২ সালের শেষ দিকে ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। আর গত পাঁচ বছরে বেড়েছে ১ হাজার ৫০০ শতাংশের বেশি। সেই তুলনায় এ বছর এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক বেড়েছে মাত্র ১৭ শতাংশ ও ন্যাসডাকে ২৩ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বর্তমানে এনভিডিয়ার বাজার মূলধন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ছাড়া এখন বিশ্বের যেকোনো দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারের চেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির আকার ২৯ দশমিক ১৮ ট্রিলিয়ন ডলার, আর চীনের জিডিপি ১৮ দশমিক ৭৪ ট্রিলিয়ন ডলার। এর পেছনে জার্মানির অবস্থান। সে দেশের জিডিপির আকার ৪ দশমিক ৬৬ ট্রিলিয়ন ডলার।
কোম্পানিস মার্কেট ডট কমের তথ্যানুসারে, বাজার মূলধনের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে মাইক্রোসফট; তাদের বাজার মূলধন ৪ লাখ ২৫ হাজার কোটি ডলার। ৪ লাখ কোটি ডলারের বাজার মূলধন নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে অ্যাপল। ৩ লাখ ৩২ হাজার কোটি ডলার নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে অ্যালফাবেট। ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি ডলার নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে অ্যামাজন।