ধর্ষণ ইস্যুতে ২দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখা।

সংগঠনটির মহানগর শাখার সভাপতি এইচ.এম. শাহীন আদনান এর এর নেতৃত্বে বুধবার সন্ধ্যায় ১নং রেইল গেইট থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত এ বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি খাইরুল আহসান মারজান, প্রধান অতিথি বলেন,এখন রমজান মাস ইফতার পরবর্তী সময় এখন আমাদের ইবাদত করার কথা কিন্তু আমাদের রাজপথে এখন আন্দোলন করতে হচ্ছে,এটা আমদের জন্য দু:খের বিষয়।

দেশব্যাপী ধর্ষণ চলছে ধর্ষকের বিচার হচ্ছে না বর্তমান সরকার ধর্ষকের বিচারের সময় কালক্ষেপন করছে,আমরা এতো কিছু বুঝি না,ধর্ষণের বিচার ৭২ ঘন্টার মধ্যে কার্যকর করতে হবে,তানাহলে যেই জনগণ ৩৬ দিনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছে সেই জনগণ নারী শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত না করার জন্য আপনার সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ, মাসুম বিল্লাহ বলেন, কুমিল্লা ক্যান্টনম্যান্টে এক নারী  সহ দেশে অনককে ধর্ষণ করে বিবস্ত্র করে ফেলে রেখেছে,যার বিচার আজোও হয়নি,আর বিচাহীনতার সংস্কৃতির কারনে আজকে এই অধ:পতন,এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি পরিবর্তন করে  কঠোর বিচার করতে হবে এবং প্রত্যেক টি ধর্ষণের বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে।

সভাপতি এইচ এম শাহীন আদনান বলেন,দেশব্যাপী সকল ধর্ষণের বিচার ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আজকে আমরা সংগঠনের পক্ষ্য থেকে বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে ২দফা দাবী পেশ করছি,এক.

ধর্ষণের বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ে বিচার বিভাগের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।দুই. ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার বিধান রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করতে।

এসময় তিনি আরো বলেন,ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি গত ৯মার্চ ঢাকায়  দেশ ব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন,সে হিসেবে আজকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়,আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই অনতিবিলম্বে ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত না করা হলে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে ইনশাআল্লাহ। 

আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সহ-সভাপতি মুহা নোমান আহমেদ,সাধারণ সম্পাদক মুহা আবুল হাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মুহা. তারেক হাসান,প্রশিক্ষন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম মোল্লা,দাওয়াহ সম্পাদক মুহাম্মাদ মাহবুব বিন আজাদ,তথ্য গবেষনা ও প্রচার সম্পাদক মুহা.খালেদ সাইফুল্লাহ সানভীর,প্রকাশনা ও দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ আমির হামজা,অর্থ ও কল্যান সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সাইদ,বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম মাহদী হাসান,কওমী মাদ্রাসা সম্পাদক এইচ এম ইউসুফ আহমদ,আলিয়া মাদ্রাসা সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ সাইম হোসেন,স্কুল ও কলেজ সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ রুহুল আমিন,সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুহাম্মাদ আবরারুল করীম,কার্যনির্বাহী সদস্য নাজমুল ইসলাম রাফিন ও থানা,ওয়ার্ড নেতৃত্ববৃন্দ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ল ন ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপি কি জামায়াতকে চাপে রাখার কৌশলে
  • সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি গঠন
  • ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন
  • আড়াইহাজারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কমিটি গঠন
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • ইসলামী আন্দোলনের বাবুরাইল ইউনিট কমিটি গঠন
  • পরিবার নিয়ে চীন ভ্রমণে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা
  • নারায়ণগঞ্জে ফ্যাসিবাদদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে : আবদুল্লাহ
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার