‘উৎসব উদযাপন হবে দেশের পোশাকে’ এই ধারণা সম্প্রসারণে দেশের অনেক উদ্যোক্তা কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষত নারীরা বাংলার তাঁতের শাড়ি সম্প্রসারণে নিয়েছেন বিশেষ ভূমিকা। নকশায় যোগ হয়েছে আধুনিকতা। ছাপিয়ে যায়নি হারিয়ে যাওয়া গৌরবময় মোটিফও। আসন্ন ঈদে ‘ওলো সই’-এর দুই কর্ণধার ফাহমিদা আখতার ও কাকলী তানভীর তাঁতের শাড়িই তুলে দিতে চান ক্রেতাদের হাতে। 

শাড়িতে উৎসবের রং

আরো পড়ুন:

ফায়জার ঈদ পোশাকে ‘প্রতিবাদ’

লোপার ঈদ কালেকশনে যা থাকছে 

ওলো সইয়ের এবারের ঈদ কালেকশনে দেখা গেলো খাদি, তন্তুজ, মটকা, তসর, লিনেন, মসলিন, টাঙ্গাইল এবং মনিপুরী শাড়ি। আরও রয়েছে মনিপুরী ওড়না।

ফাহমিদা আখতার ও কাকলী তানভীর রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘আমরা হ্যান্ডলুম শাড়িই বেশি বিক্রি করি। চলতি বছরে খাদি, তাঁতের সুতি শাড়ি এবং মনিপুরীর চাহিদা বেশি রয়েছে।’’

জমকালো জামদানি

বিগত বছরে সূতি, লিলেন ও মটকার চাহিদা বেশি ছিল বলে জানান তারা।

ওলো সই-এর শাড়ির দরদাম জেনে নিন: সুতি শাড়ির দাম পড়বে ২৫০০ টাকা থেকে ৮৫০০ টাকা, লিনেন ৫০০০ টাকা  থেকে ১০৫০০ টাকা, সিল্ক ও মটকা শাড়ির দাম পড়বে ৭৫০০ টাকা থেকে ১৭৫০০ টাকা। মনিপুরী ২৬০০ থেকে ৮৫০০ টাকা। 

এখন প্রকৃতিতে তাপমাত্রা বাড়ছে, বিশেষ করে বিকেলের আগ পর্যন্ত তাপমাত্রার আধিক্য বেশি থাকে। এই আবহাওয়ায় পোশাকে আরাম নিশ্চিত করাও জরুরি। এবার জেনে নেওয়া যাক ঈদের দিন কেমন শাড়ি পরবেন এই উদ্যোক্তারা। ফাহমিদা আখতার বলেন, ‘‘আমরা ঈদের দিন সকালে আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে খাদি শাড়ি পরবো এবং বিকালে পরবো তন্তুজ জামদানি।’’ 

খাদি গরমে আরামদায়ক আর তন্তুজ জামদানিতে রয়েছে উৎসবের ভাইব। 
 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ প শ ক মন প র

এছাড়াও পড়ুন:

আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ

ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।

রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।

অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা। 

বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো। 

বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া। 

আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না। 

বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’

বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা। 

উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 

রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’