বিজলি কিরণমালা তাজিদের নিয়ে মেলায় হাঁকডাক
Published: 15th, March 2025 GMT
বিজলি, কিরণমালা, রানী, সুইটি, ভারতীয় তাজিসহ বাহারি সব নাম ঘোড়ার। এদের দেখতে ভিড় করছে নানা বয়সী মানুষ। ক্ষিপ্রতা আর বুদ্ধিমত্তায় মেলে তাদের নামের সার্থকতা। চলনে বিদ্যুৎগতি, চোখের পলকে যেন মাইল পার– এমন নানামুখী গুণ থাকলে কদরও বেশি। পছন্দের ঘোড়া কিনতে ক্রেতার মধ্যেও চলছে প্রতিযোগিতা। জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে চলছে ঐতিহ্যবাহী গোপীনাথপুর দোলপূর্ণিমার মেলা। সেখানে জমে উঠেছে এ ঘোড়ার হাট।
আয়োজকরা জানান, উত্তরাঞ্চলে একমাত্র ঘোড়া বেচাকেনা হয় গোপীনাথপুর দোলের মেলায়। সারাদেশ থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা আসেন এখানে। প্রতিবছর দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে মাসব্যাপী মেলা চললেও পশুর মেলা হয় প্রথম ১০ দিন। গত শুক্রবার মেলায় এসেছেন ব্যবসায়ীরা। ঘোড়া ছাড়াও মহিষ, গরু, ভেড়া ও ছাগল কেনাবেচা হচ্ছে।
দরদাম ঠিক করার পর একটি খেলার মাঠে ঘোড়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ক্রেতাকে দেখানো হয় ঘোড়দৌড়। এবার ভারতীয় তাজি ঘোড়ার দাম হাঁকা হয়েছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। আড়াই লাখ টাকা দাম হাঁকা একটি ঘোড়ার মালিক জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সোনাইমুখী গ্রামের ইউনুস আলী। তিনি বলেন, এটির বয়স পাঁচ বছর। ভুটানের ভুটিয়া ঘোড়াটি দ্রুত দৌড়াতে পারে। এর যত্ন নিয়েছেন তিনি নিজেই।
আয়োজকরা বলছেন, ৫১৭ বছরের পুরোনো এ মেলা ঘোড়া বেচাকেনার জন্য প্রসিদ্ধ। এখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘোড়া বিক্রি করতে আসেন মালিক।
ঘোড়া কিনতে আসা গাইবান্ধার মাঠেরপাড়া গ্রামের আবুল ব্যাপারী একটি ঘোড়ার দাম বলেন ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। আরও দু-একটি দেখার পর সিদ্ধান্ত নেবেন। জামালপুরের রফিকুল ইসলাম বলেন, ৪৫ বছর ধরে ঘোড়া নিয়ে তিনি মেলায় আসেন।
মেলা কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ঘোড়ার মেলা হলেও গ্রামীণ সব আয়োজনই করা হয়েছে। আক্কেলপুর থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, মেলার নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি আনসার মোতায়েন রয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ।
শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৩১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৫১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.২০ পয়েন্ট বা ১.৯৪ শতাংশ।
এর আগের সপ্তাহের (২৪ থেকে ২৮ জুলাই) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৩১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.৬০ পয়েন্ট বা ৬.১৮ শতাংশ।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.১০ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৭.১৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৮৯ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১০.৭০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.০৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.৬০ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৭৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪.১০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৯৪ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৬.৩১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৯৬ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৮.৪৩ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১.৮১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.৯৩ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৬.১৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৬.৭৭ পয়েন্টে, এবং সিরামিক খাতে ৫৭.৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ঢাকা/এনটি/ইভা