যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় আহত ১০, থানায় অভিযোগ
Published: 16th, March 2025 GMT
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এসময় তাদের চালানো হামলায় আরো ১০জন আহত হন বলে খবর পাওয়া গেছে।
গত শনিবার রাতে উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর বাজারে ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ছাত্রদল নেতা নাফিজের বাবা মো.
আরো পড়ুন:
ঘুমন্ত বিএনপি কর্মীর ঘরে বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন
মসজিদের চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তির মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে আস্কর বাজারে বাগধা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিজ আহম্মেদকে দেখতে পেয়ে হামলা চালায় যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী সুধাংশু অধিকারী, নয়ন বিশ্বাস, পাপন বিশ্বাসসহ ৩০-৪০ জন। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাফিজকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় ছাত্রদল নেতারা নাফিজকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে স্বপন মোল্লা ও শিপন হাওলাদারসহ ১০ জনের ওপর যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালায়। হামলায় তারা আহত হন।
পরে গুরুতর আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত ছাত্রদল নেতা নাফিজের বাবা মো. বুলবুল আহাম্মেদ বলেন, “আমি বিএনপি সমর্থিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমার বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানো মামলাসহ তিনটি মামলা হয়। আমি বাড়িতে থাকতে পারিনি। এখন আমার ছেলে ছাত্রদল করার কারণে তার ওপর শনিবার রাতে আস্কর বাজারে হামলা করেছে যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তারা তাকে কুপিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ৪০-৫০জনকে অভিযুক্ত করে আগৈলঝাড়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।”
আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো.আলিউল ইসলাম বলেন, “ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বল গ ছ ত রদল আহত অভ য গ ছ ত রদল ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস