হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের চক্রান্তের প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোল চত্বরে সমাবেশ করেন তারা। এসময় তাদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে শোনা যায়।

‘সম্মিলিত নাগরিক সমাজ হবিগঞ্জের’ ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

আরো পড়ুন:

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ 

রংপুরে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে মশাল মিছিল

বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় সেখানে চুনারুঘাট থানার ওসি মো.

নূর আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপস্থিত ছিল। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জেলার ২৫ লাখ মানুষের দাবি উপেক্ষা করে হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের যে পাঁয়তারা চলছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। জনস্বার্থবিরোধী এই চক্রান্ত থেকে সরে আসার জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে, অনেক আন্দোলন হয়েছে। তারপরও মেডিকেল কলেজ বন্ধের দিকে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একরোখা সিদ্ধান্তের কারণে হবিগঞ্জবাসী মেডিকেল কলেজ হারাতে বসেছে। এ রকম সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে মহাসড়ক ও রেলপথ বন্ধ করে দিয়ে সিলেট বিভাগকে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।

নাগরিক সমাজ হবিগঞ্জের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. ইকরামুল ওয়াদুদ, সদস্য সচিব মো. সামছুল হুদা, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. ফরিদ আহমেদ ওলি, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, সাবেক সভাপতি শোয়েব চৌধুরীসহ অন্যরা সমাবেশে বক্তব্য দেন।

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক। 

 এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”

বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।” 

চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”

ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।” 

হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে। 

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।

কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”

ঢাকা/রাঙামাটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩
  • টেকনাফে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২