হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মহাসড়কে বিক্ষোভ
Published: 16th, March 2025 GMT
হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের চক্রান্তের প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোল চত্বরে সমাবেশ করেন তারা। এসময় তাদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে শোনা যায়।
‘সম্মিলিত নাগরিক সমাজ হবিগঞ্জের’ ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন:
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
রংপুরে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে মশাল মিছিল
বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় সেখানে চুনারুঘাট থানার ওসি মো.
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জেলার ২৫ লাখ মানুষের দাবি উপেক্ষা করে হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের যে পাঁয়তারা চলছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। জনস্বার্থবিরোধী এই চক্রান্ত থেকে সরে আসার জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে, অনেক আন্দোলন হয়েছে। তারপরও মেডিকেল কলেজ বন্ধের দিকে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একরোখা সিদ্ধান্তের কারণে হবিগঞ্জবাসী মেডিকেল কলেজ হারাতে বসেছে। এ রকম সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে মহাসড়ক ও রেলপথ বন্ধ করে দিয়ে সিলেট বিভাগকে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।
নাগরিক সমাজ হবিগঞ্জের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. ইকরামুল ওয়াদুদ, সদস্য সচিব মো. সামছুল হুদা, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. ফরিদ আহমেদ ওলি, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, সাবেক সভাপতি শোয়েব চৌধুরীসহ অন্যরা সমাবেশে বক্তব্য দেন।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন। সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল
সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ