বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অধ্যয়নের সুযোগ দিচ্ছে পাকিস্তানের কমস্যাটস বিশ্ববিদ্যালয়। এ বৃত্তির আওতায় কোনো টিউশন ফি ছাড়াই স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি করার সুযোগ দিচ্ছে পাকিস্তানের কমস্যাটস বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্পায়ার লিডারস প্রোগ্রাম, আইইএলটিএস ছাড়াই আবেদন ৩ ঘণ্টা আগে

কমস্যাটস বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামাবাদ পাকিস্তানের একটি ফেডারেল চার্টার্ড পাবলিক সেক্টর বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯৮ সালে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

এ স্কলারশিপের আওতায় কমস্যাটস বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি বিভাগে পড়াশোনা করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেট্টিওলজি, অর্থ সায়েন্স (অ্যাপ্লাইড জিওলজি), এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ডাটা সায়েন্স, ম্যাথামেটিকস, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস, এআই, রিমোট সায়েন্স অ্যান্ড জিআইএস, ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স, রসায়ন, প্রজেক্ট ম্যানেজম্যান্ট, বায়োসায়েন্স, ডেভেলভমেন্ট স্ট্যাডিজ, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।

আরও পড়ুনআইইএলটিএস প্রস্তুতি, ইংরেজির স্পষ্ট উচ্চারণের জন্য প্রতিদিন করণীয়১৩ মার্চ ২০২৫

স্নাতকোত্তরের মেয়াদ ২ বছর এবং পিএইচডির মেয়াদ ৩ বছর। শতাধিক শিক্ষার্থী এ বৃত্তি পাবেন।

সুযোগ-সুবিধা—

সম্পূর্ণ টিউশন ফি ১০০০ ডলার মওকুফ

ওয়ান টাইম অ্যাডমিশন ফি ৫৫০ ডলার মওকুফ

রেজিস্ট্রেশন ৩০০ ডলার মওকুফ;

ল্যাব/বেঞ্চ ফি ৩০০ ডলার মওকুফ

আবাসন সুবিধা

পরিবহন সুবিধা ও

স্বাস্থ্যবিমা।

প্রথম আলো ফাইল ছবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ