ঈদে মুনমুন মুখার্জীর কালেকশনে যা থাকছে
Published: 18th, March 2025 GMT
মনিপুরী শাড়ির নির্ভরযোগ্য ফ্যাশন হাউস হয়ে উঠেছে মুনমুন মুখার্জীর উদ্যোগ ‘অদ্বিতীয়া’। এবার ঈদ কালেকশনে মনিপুরী শাড়িকে নানা মোটিফে সাজিয়েছেন মুনমুন। নকশায় মটিফ হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে গোলাপ,শাপলা,পদ্ম,শিউলি,লতাপাতা,পাখি(হংস, চড়ুই),জলতরঙ্গ, তাজমহল টেম্পল ও জামদানী মটিফ। এবারের ঈদ কালেকশনে দেখা গেছে বিভিন্ন রঙের উজ্জ্বল শেড। মনিপুরী শাড়ির পাশাপাশি আরও থাকছে রাজশাহী সপুরা পিওর মসলিন শাড়ি ও রাজশাহী সফট সিল্ক।
রাজশাহী সপুরা পিওর মসলিন শাড়ি
আরো পড়ুন:
ঈদে তানজিলা ও আনজিলার কালেকশনে ফিউশন পোশাক
দিবার ঈদ কালেকশনে যা থাকছে
সুদিং কালারগুলোর মধ্যে রয়েছে, ডার্ক এগ ইয়োক কালার, নীল ডুয়েল টোন, সি গ্রিন, মভ কালার, বেবি পিংক কালার, পার্পেল। এ ছাড়া ঐতিহ্যবাহী লাল-সাদা কম্বিনেশনতো আছেই। শাড়ির মোটিফগুলো একেতো ফেস্টিভ দ্বিতীয়ত একই শাড়িতে বর্ষবরণও করা যাবে। আরামকে যারা প্রাধান্য দিতে চান তারা বেছে নিতে পারেন তাঁতের বোনা মনিপুরী আর যারা পার্টি লুকে জমকালো ভাইভ আনতে চান তারা বেছে নিতে পারেন রাজশাহী সপুরা পিওর মসলিন শাড়ি ও রাজশাহী সফট সিল্ক।
মুনমুন মুখার্জী রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘এবার ঈদে সুতি শাড়ির প্রাধান্য বেশি দেওয়া হয়েছে। কারণ সুতি শাড়ি আরামদায়ক হয়। এর পাশাপাশি গর্জিয়াস কাজের শাড়িও থাকছে। এছাড়াও আমি পিওর রাজশাহী মসলিন নিয়ে কাজ করেছি। পার্টি লুক চাইলে পিওর রাজশাহী মসলিন শাড়ি অনবদ্য। পিওর রাজশাহী মসলিনে মেশিন এমব্রয়ডারি করা ঘন কাজের শাড়ি থাকবে। গরমে আরাম নিশ্চিত করার জন্য সুদিং আর সফিসটিকেটেড কালারগুলোই থাকছে পিওর রাজশাহী সপুরা মসলিনের মধ্যে।’’
মেটালের গহনার পসরা সাজিয়েছে অদ্বিতীয়া। এই ঈদের ক্রেতাদের চাহিদায় রয়েছে ‘কাটাই সেট’।
দরদাম: অদ্বিতীয়ার মনিপুরী শাড়ির দাম ১৮৫০-১০,০০০ টাকা। পিওর রাজশাহী সপুরা মসলিন শাড়ির দাম পড়বে ১২,৫০০ টাকা থেকে ১৪,৫০০। গহনা ১৫০ থেকে ১২৫০ টাকার মধ্যে।
মুনমুন মুখার্জীকে প্রশ্ন করেছিলাম উৎসবে তিনি কেমন পোশাক পরেন? উত্তরে এই উদ্যোক্তা বলেন, ‘‘আনন্দ উৎসবে আমি মনিপুরী শাড়িকেই বেছে নেই। কারণ বুনন কৌশলের কারণে এই শাড়ি অনেক আরামদায়ক এবং লাবণ্যময়ী। ঈদের দিন আমি একটু হাই রেইঞ্জের মনিপুরী যেগুলোর নকশাগুলো খুব ইউনিক তেমনই কোনো মনিপুরী পরব। যেহেতু ঈদ তাই উজ্জ্বল রঙকেই বেছে নেবো। যদিও যেকোনো রঙের মনিপুরী শাড়িই খুব সুন্দর হয়।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ প শ ক মসল ন শ ড় ক ল কশন মন প র
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬০ দিন পর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা, উৎসবের আমেজ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দীর্ঘ ১৬০ দিন পর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছেন। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বইছে উৎসবের আমেজ।
সকালে কুয়েট ক্যাম্পাসে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস। ছাতা মাথায় দল বেঁধে ছুটছেন ক্লাসরুমের দিকে। কখনো এক ছাতার নিচে দু-তিনজন। কারও সঙ্গে অভিভাবকও এসেছেন। সকাল নয়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি শিক্ষাবর্ষের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী ক্লাসে যোগ দেন। নতুন উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে শ্রেণি কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করেন।
ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী দীপ্ত বলেন, ‘আমাদের প্রায় এক সেমিস্টার নষ্ট হয়ে গেছে। এই সময়টা খুব অস্বস্তিতে কেটেছে। ক্ষতি যা হওয়ার হয়েছে, তবে এখন আবার ক্লাস শুরু হওয়াটা ইতিবাচক দিক। আমরা আশাবাদী।’ একই ব্যাচের শিক্ষার্থী আম্মান বলেন, ‘অনেক দিন জীবনটা থেমে ছিল। আজকের দিনটা বিশেষ মনে হচ্ছে। ঠিক যেন স্কুলজীবনের প্রথম দিনের মতো। সব হতাশা কাটিয়ে আমরা অনেকটা নতুন করে শুরু করছি।’
হুমায়ুন কবির নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলে বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ে। পাঁচ মাস ধরে ক্লাস বন্ধ থাকায় ও মানসিকভাবে খুব চাপের মধ্যে ছিল। একসময় অসুস্থও হয়ে পড়ে। কুয়েটে এমন পরিস্থিতি আগে দেখিনি। কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করলে হয়তো আগেই খুলে যেত। তারপরও এখন অন্তত খুলেছে, এটা বড় স্বস্তি।’
কুয়েটের ছাত্র পরিচালক আবদুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার বলেন, আজ থেকে কুয়েটে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে এখনো সব শিক্ষার্থী আসেননি। যাঁদের কেবল ক্লাস রয়েছে, তাঁরা অংশ নিচ্ছেন। যাঁদের পরীক্ষা ছিল, তাঁরা প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় চেয়েছে। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন হবে ১৪ আগস্ট, ক্লাস শুরু ১৭ আগস্ট।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। ওই রাতেই তৎকালীন উপাচার্য ও কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। এরপর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২৬ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ ও সহ-উপাচার্য অধ্যাপক শরিফুল আলমকে অব্যাহতি দেয়। ১ মে চুয়েটের অধ্যাপক হজরত আলীকে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার দাবিতে ৪ মে থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি। এরপর কোনো শিক্ষকই ক্লাসে ফেরেননি। শিক্ষক সমিতির বিরোধিতার মুখে হজরত আলী দায়িত্ব পালন করতে না পেরে ২২ মে পদত্যাগ করেন।
এরপর ১০ জুন নতুন উপাচার্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার কুয়েটের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী। পরদিন শুক্রবার তিনি খুলনায় এসে দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় আন্দোলন কর্মসূচি তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার ক্লাস শুরুর নোটিশ জারি করা হয়।