মনিপুরী শাড়ির নির্ভরযোগ্য ফ্যাশন হাউস হয়ে উঠেছে মুনমুন মুখার্জীর উদ্যোগ ‘অদ্বিতীয়া’। এবার ঈদ কালেকশনে মনিপুরী শাড়িকে নানা মোটিফে সাজিয়েছেন মুনমুন। নকশায় মটিফ হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে গোলাপ,শাপলা,পদ্ম,শিউলি,লতাপাতা,পাখি(হংস, চড়ুই),জলতরঙ্গ, তাজমহল টেম্পল ও জামদানী মটিফ। এবারের ঈদ কালেকশনে দেখা গেছে বিভিন্ন রঙের উজ্জ্বল শেড। মনিপুরী শাড়ির পাশাপাশি আরও থাকছে রাজশাহী সপুরা পিওর মসলিন শাড়ি ও রাজশাহী সফট সিল্ক।

রাজশাহী সপুরা পিওর মসলিন শাড়ি

আরো পড়ুন:

ঈদে তানজিলা ও আনজিলার কালেকশনে ফিউশন পোশাক

দিবার ঈদ কালেকশনে যা থাকছে

সুদিং কালারগুলোর মধ্যে রয়েছে, ডার্ক এগ ইয়োক কালার, নীল ডুয়েল টোন, সি গ্রিন, মভ কালার, বেবি পিংক কালার, পার্পেল। এ ছাড়া ঐতিহ্যবাহী লাল-সাদা কম্বিনেশনতো আছেই। শাড়ির মোটিফগুলো একেতো ফেস্টিভ দ্বিতীয়ত একই শাড়িতে বর্ষবরণও করা যাবে। আরামকে যারা প্রাধান্য দিতে চান তারা বেছে নিতে পারেন তাঁতের বোনা মনিপুরী আর যারা পার্টি লুকে জমকালো ভাইভ আনতে চান তারা বেছে নিতে পারেন রাজশাহী সপুরা পিওর মসলিন শাড়ি ও রাজশাহী সফট সিল্ক।

মুনমুন মুখার্জী রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘এবার ঈদে সুতি শাড়ির প্রাধান্য বেশি দেওয়া হয়েছে। কারণ সুতি শাড়ি আরামদায়ক হয়। এর পাশাপাশি গর্জিয়াস কাজের শাড়িও থাকছে। এছাড়াও আমি পিওর রাজশাহী মসলিন নিয়ে কাজ করেছি। পার্টি লুক চাইলে পিওর রাজশাহী মসলিন শাড়ি অনবদ্য। পিওর রাজশাহী মসলিনে মেশিন এমব্রয়ডারি করা ঘন কাজের শাড়ি থাকবে। গরমে আরাম নিশ্চিত করার জন্য সুদিং আর সফিসটিকেটেড কালারগুলোই থাকছে পিওর রাজশাহী সপুরা মসলিনের মধ্যে।’’

মেটালের গহনার পসরা সাজিয়েছে অদ্বিতীয়া। এই ঈদের ক্রেতাদের চাহিদায় রয়েছে ‘কাটাই সেট’।

দরদাম: অদ্বিতীয়ার মনিপুরী শাড়ির দাম ১৮৫০-১০,০০০ টাকা। পিওর রাজশাহী সপুরা মসলিন শাড়ির দাম পড়বে ১২,৫০০ টাকা থেকে ১৪,৫০০। গহনা ১৫০ থেকে ১২৫০ টাকার মধ্যে।

মুনমুন মুখার্জীকে প্রশ্ন করেছিলাম উৎসবে তিনি কেমন পোশাক পরেন? উত্তরে এই উদ্যোক্তা বলেন, ‘‘আনন্দ উৎসবে আমি মনিপুরী শাড়িকেই বেছে নেই। কারণ বুনন কৌশলের কারণে এই শাড়ি অনেক আরামদায়ক এবং লাবণ্যময়ী। ঈদের দিন আমি একটু হাই রেইঞ্জের মনিপুরী যেগুলোর নকশাগুলো খুব ইউনিক তেমনই কোনো মনিপুরী পরব। যেহেতু ঈদ তাই উজ্জ্বল রঙকেই বেছে নেবো। যদিও যেকোনো রঙের মনিপুরী শাড়িই খুব সুন্দর হয়।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ প শ ক মসল ন শ ড় ক ল কশন মন প র

এছাড়াও পড়ুন:

তুলশীগঙ্গার তীরে সন্ন্যাসতলীর শতবর্ষী ঘুড়ির মেলা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রাম ঘেঁষে তুলশীগঙ্গা নদীর অদূরে সন্ন্যাসতলীর বটতলা। জায়গাটিতে প্রায় একশ বছর আগে থেকে বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ শুক্রবার আয়োজন হয় ঘুড়ির মেলা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। অন্তত ৫০ গ্রামের হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে শুক্রবার সন্ন্যাসতলী ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মেলার দিনক্ষণ মনে রেখে সময়মতো দোকানিদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরা ভিড় জমান নিভৃত পল্লীতে। আগে মেলার দিন বৃষ্টি হওয়া যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। প্রচণ্ড গরম ও তাপপ্রবাহের মধ্যেই চলে এ আয়োজন। বৈরী পরিবেশের কারণে উৎসবের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, সন্ন্যাসতলীর এ ঘুড়ি উৎসব শুরুর দিন বিকেলে বটতলায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় সন্ন্যাস পূজা পালন করেন। তাদের এ পূজা-অর্চনা ঘিরেই মূলত এ মেলার উৎপত্তি। তবে শুরুর কথা কেউ বলতে পারেননি। প্রবীণরা শুধু জানেন, একশ বছরের বেশি সময় ধরে তারা এ মেলার আয়োজন দেখে আসছেন।

মেলার নিজস্ব জায়গা না থাকলেও এর ব্যাপ্তি প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই এক দিনের এ মেলা ঘিরেই জেলার জামালগঞ্জ চারমাথা থেকে ঐতিহাসিক আছরাঙ্গাদীঘি পর্যন্ত রকমারি পণ্যের দোকান বসে। এখান থেকে সংসারের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আসবাব থেকে শুরু করে ছোট মাছ ধরার বাঁশের তৈরি পণ্য খলসানি, টোপা, ডালা, চালুন কিনে নেন অনেকে।

সুতার তৈরি তৌরা জাল, গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, বিভিন্ন ধরনের খেলনা, মিষ্টান্ন, প্রসাধনী, মাটির তৈজসপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হয়। শিশুদের বিনোদনের জন্য ছিল নাগরদোলার ব্যবস্থাও। আর মেলার বড় আকর্ষণ ঘুড়ি ওড়ানো ও বিক্রি। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এসেছিলেন ঘুড়ি বিক্রি করতে।

প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি তেমন হাওয়া-বাতাস না থাকায় এবার ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা সেভাবে জমে ওঠেনি। তবে ঘুড়ি বেচাকেনা ও শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এ উপলক্ষে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থীর নিরাপত্তার জন্য মেলায় সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল ছিল।

আদমদীঘির শিববাটি গ্রামের ঘুড়ি ব্যবসায়ী সালাম হোসেনের ভাষ্য, সন্ন্যাসতলীর মেলা বড় হওয়ায় তিনি এসেছেন ঘুড়ি বিক্রির জন্য। মেলায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ঘুড়ি বিক্রি করতে পেরে তিনি খুশি। জয়পুরহাটের পার্বতীপুর এলাকার ঘুড়ি ব্যবসায়ী মফিজ উদ্দিন ও মজনু সরদার বলেন, পূর্বপুরুষের আমল থেকে এ মেলার কথা শুনে আসছেন তারা।

মেলা উদযাপন ও পূজা কমিটির সদস্য মহব্বতপুর গ্রামের মন্টু মণ্ডল বলেন, মেলাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও এটি আসলে সব ধর্মালম্বীর মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। 

মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন হোসেনের ভাষ্য, এক দিনের আয়োজনে যে এত লোকের সমাগম হতে পারে, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। মেলায় যেন অনৈতিক কর্মকাণ্ড না হয়, সে ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ক্ষেতলাল থানার ওসি মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং মেলায় আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসন সতর্ক আছে। মেলায় অনৈতিক আচরণ লক্ষ্য করা গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’
  • তুলশীগঙ্গার তীরে সন্ন্যাসতলীর শতবর্ষী ঘুড়ির মেলা
  • ভালোবাসার ফ্রেমে মেহজাবীন-রাজীব, পেছনে আইফেল টাওয়ার