দিনে দুপুরে ট্রাক ছিনতাইয়ের চেষ্টা, ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি
Published: 18th, March 2025 GMT
ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশে প্রকাশ্য দিবালোকে শাহ্ সিমেন্ট কোম্পানির সিমেন্ট ভর্তি ট্রাক ছিনতাইয়ের সময় মঞ্জুর মিয়া (২১) নামে এক ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বেলা এগারোটার দিকে ধামরাই ফায়ার স্টেশনের সামনে কেলিয়া এলাকায় ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
আটক মঞ্জুর মিয়া গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার পাবুরিয়া চালা এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গাড়িটি পার্কিং করা ছিল। ছিনতাইকারী এসে ড্রাইভারকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। সেসময় গাড়ি নিয়ে পালানোর সময় এলাকাবাসীর কাছে হাতে ধরা পড়ে ওই ছিনতাইকারী। জনতা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পুলিশ সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছিনতাইকারীকে আটক করে।
ট্রাকটির চালক ইয়াসিন আরাফাত হৃদয় বলেন, “গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে লেবারের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। বসে বসে ফেসবুকে রিলস দেখছিলাম। হঠাৎ গাড়ি স্টার্টের শব্দ শুনে আমি ছিনতাইকারীকে আটকাতে যাই। তবে গাড়িতে থাকা লিভার রডটি দিয়ে সে আমার মাথায় আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে এবং ছিনতাইকারীকেও ধরে ফেলে উত্তমমাধ্যম দেয়। সাথেসাথে পুলিশও চলে আসে।”
ধামরাই থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ তারেক পারভেজ বলেন, “আমাদের টহল টিম পাশেই ছিল। কিছুটা জটলা দেখেই আমরা ছিনতাইকারীকে আটক করি ও গাড়ির ড্রাইভারকে চিকিৎসার জন্য ধামরাই থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”
ঢাকা/সাব্বির/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।