রাজধানীর খিলক্ষেতে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক তরুণকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা গণপিটুনি দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। 

বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের ওপরও হামলা চালায়; তাদের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গভীর রাতে খিলক্ষেত বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে কলেজছাত্রীকে দোকানে নিয়ে ধর্ষণ

নরসিংদীতে গৃহবধূকে ‌‘ধর্ষণের’ অভিযোগ 

 খিলক্ষেত থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

কামাল হোসেন বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগে ওই তরুণকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের গাড়িতে হামলা করে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আমি নিজেসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের ঘটনাটি মঙ্গলবার দুপুরের দিকের। ভুক্তভোগী শিশু বাড়িতে তার ওপর হওয়া নির্যাতনের বিষয়ে কিছু বলতে পারছিল না। শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিলে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান। তখন ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে খিলক্ষেত থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ রাতে ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তায় ফেলে গণপিটুনি দেয়।

ঢাকা/এমআর/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ক ষ ব ধ জনত

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ