সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন ‘বিগ বস’ তারকা জুটি তেজস্বী প্রকাশ ও করন কুন্দ্রা। টিভি শো সেলিব্রিটি মাস্টারশেফের সর্বশেষ পর্বে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তেজস্বীর মা।

সেলিব্রিটি মাস্টারশেফের বিচারকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এটি সঞ্চালনাও করছেন পরিচালক ফারাহ খান। এ অনুষ্ঠানে ‘নাগিন’খ্যাত অভিনেত্রী তেজস্বীর বিয়ের পরিকল্পনা তার মায়ের কাছে জানতে চান ফারাহ। জবাবে তেজস্বীর মা বলেন— “এই বছরই হবে।”

করনের সঙ্গে তেজস্বী প্রকাশ

আরো পড়ুন:

অলকার গানের ভক্ত লাদেন, শিল্পী কী বললেন?

কেন প্রেমে পড়লেন গৌরি-আমির?

এ খবর জানার পরই উপস্থিত সকলে কড়তালি দিয়ে অভিবাদন জানান। এতে করে তেজস্বীকে লজ্জা পেতে দেখা যায়। এরপর তেজস্বীকে খেপাতে করনের নাম স্মরণ করেন ফারাহ খান। এতে হেসে ফেলেন এই অভিনেত্রী। তারপর আর কোনো কথা বলেননি তেজস্বী।

পুরোনো এক ইপিসোডে তেজস্বী বলেছিলেন, “আমার জন্য সাধারণ কোর্ট ম্যারেজ ঠিক আছে। আমরা ঘুরে বেড়াব, আরাম করব।”

ভারতের জনপ্রিয় টিভি রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’-এর ১৫তম আসরে বিজয়ী হন তেজস্বী প্রকাশ। জয়ী হওয়ার কয়েক দিন পরই তেজস্বীর বাবা ঘোষণা দেন— ‘অভিনেতা করন কুন্দ্রাকে বিয়ে করতে যাচ্ছে তেজস্বী।’ কিন্তু এর কিছুদিন পরই খবর চাউর হয় ভেঙে গেছে এ জুটির প্রেম! তবে এসব গুঞ্জন উড়িয়ে চুটিয়ে প্রেমে মজেন এই যুগল।

‘বিগ বস ১৫’ আসরে প্রতিযোগী ছিলেন করন কুন্দ্রা-তেজস্বী। এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন তেজস্বী, তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন করন। বিগ বসের ঘরে করনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তেজস্বী প্রকাশ। গ্র্যান্ড ফিনালে শেষ হলেও এ জুটির প্রেম শেষ হয়নি! বরং তারা তাদের প্রেম পরিণয় দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।

তেজস্বী প্রকাশ

সংগীত পরিবারের সন্তান তেজস্বী। কিন্তু পেশা হিসেবে অভিনয়কে বেছে নেন তিনি। এই টেলি সুন্দরী ছিলেন প্রকৌশলীর ছাত্রী। মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিকস আর টেলিকমিউনিকেশনস বিষয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন। একটি সংস্থায় চাকরিও করতেন তেজস্বী। কিন্তু অভিনয়জগতের হাতছানি এড়াতে পারেননি তিনি। তাই একসময় চাকরি ছেড়ে পাকাপাকি অভিনয়জগতে পা রাখেন।

২০১২ সালে লাইফ ওকের ‘২০১২’-এর মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করেন তেজস্বী। এরপর ‘সংস্কার: ধরোহর আপনো কি’, ‘স্বরাগিনী: জোড়ে রিস্তো কে সুর’, ‘পহরেদার পিয়া কি আর সিলসিলা বদলেতে রিস্তো কা’ ধারাবাহিকে দেখা গেছে তাকে।

তথ্যসূত্র: দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল

বাঁশির সঙ্গে সখ্য সেই শৈশবে। গ্রামে যাত্রাপালায় গান করতেন আর বাঁশির সুরে ছড়াতেন মুগ্ধতা। জীবন-জীবিকার তাগিদে একসময় বেছে নেন রিকশাচালকের পেশা। গ্রাম ছেড়ে থিতু হন ব্যস্ত শহরে। তবে বাঁশের বাঁশিকে হাতছাড়া করেননি শফিকুল ইসলাম (৪৫)।

যানজটে গতি থামতেই রিকশার হ্যান্ডেল ছেড়ে শফিকুল কোমর থেকে হাতে নেন প্রিয় বাঁশি। হর্নের কর্কশ ধ্বনি এড়িয়ে তখন বাতাসে ভাসে সুরের মূর্ছনা। বেখেয়ালি যাত্রী আর পথচারীরা হঠাৎ মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে থাকেন বাঁশিওয়ালার দিকে।

দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বাঁশির সঙ্গে মিতালি গড়েছেন শফিকুল। সেই বাঁশির সুরেই যেন তাঁর জীবন বাঁধা। অভাব, দুর্দশা আর দারিদ্র্যও এ বন্ধন থেকে তাঁকে আলাদা করতে পারেনি। রিকশার প্যাডেলের ছন্দে তাঁর ঠোঁটে বিমূর্ত হয়ে বাঁশির করুণ সুর। বগুড়া শহরের পথচারীদের কাছে তিনি ‘বাঁশিওয়ালা রিকশাওয়ালা’ হিসেবে পরিচিত।

শফিকুলের পৈতৃক ভিটা বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার শালিখা গ্রামে। তবে জীবিকার তাগিদে থাকেন বগুড়া শহরের মালতীনগর এলাকার একটি গ্যারেজে। গত রোববার বিকেলে তাঁর দেখা মেলে বগুড়া শহরের কোর্ট হাউস স্ট্রিটের ব্যস্ত সড়কে। শেষ বিকেলে যানজটে যখন পথচারীরা বিরক্ত, তখন বাতাসে ভেসে আসে ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই’ ভাওয়াইয়া গানটির সুর।

দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বাঁশির সঙ্গে মিতালি গড়েছেন শফিকুল। রিকশার প্যাডেলের ছন্দে তাঁর ঠোঁটে বিমূর্ত হয়ে বাঁশির করুণ সুর। বগুড়া শহরের পথচারীদের কাছে তিনি ‘বাঁশিওয়ালা রিকশাওয়ালা’ হিসেবে পরিচিত।

এরই একফাঁকে আলাপ হয় শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। কথায় কথায় তিনি জানান, দারিদ্র্যের কারণে পঞ্চম শ্রেণির গণ্ডি পেরোতে না পেরোতেই পড়ালেখা বন্ধ করতে হয়। এরপর জড়িয়ে পড়েন গ্রামের একটি যাত্রাপালার দলে। ‘কাজলরেখা’, ‘সাগরভাসা’, ‘গুনাইবিবি’, ‘রাখালবন্ধু’, ‘রূপবান’সহ নানা লোককাহিনিনির্ভর যাত্রাপালায় অভিনয় ও গান করেছেন। শুধু তা–ই নয়, গানের সুরে হারমোনিয়ামও বাজাতেন। এসবের ফাঁকে ফাঁকে টুকটাক রিকশা চালাতেন তখন।

পরিবারের বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল বলেন, ২০০০ সালে বিয়ে করেন। স্ত্রী মোর্শেদা গৃহিণী। তাঁদের তিন মেয়ে—শরীফা, শম্পা ও শাকিলা। এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে। স্ত্রী ও দুই মেয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। মাসে দুবার তিনি বাড়িতে যান। শফিকুলের দাবি, বগুড়া শহরে রিকশা চালিয়ে দিনে পান ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। থাকা-খাওয়া ও রিকশার জমা খরচ ছাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা থেকে যায়। সেই টাকায় চলে সংসার।

শুরুতে শহুরে জীবন শফিকুলের একদম ভালো লাগত না, মন পড়ে থাকত সেই গ্রামে। মন ভালো রাখতে রিকশা চালানোর সময় গুনগুন করে গাইতেন। এর মধ্যে শহরের রাস্তায় একদিন এক বাঁশিওয়ালার সঙ্গে তাঁর দেখা। তাঁর কাছ থেকে উপার্জনের ৮০ টাকা দিয়ে একটি বাঁশি কেনেন তিনি। এরপর রাতে গ্যারেজে শুয়ে সেই বাঁশিতে সুর তোলেন। এখন বাঁশি তাঁর নিত্যসঙ্গী।

বাঁশি বাজাতে বাজাতে রিকশা চালানো অভ্যাস হয়ে গেছে জানিয়ে শফিকুল বলেন, যানজটে আটকা পড়লে বাঁশিতে সুর তোলেন। যাত্রী না পেলে রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে একমনে বাঁশি বাজান। সুর শুনে যাত্রীরা ১০-২০ টাকা বেশি ভাড়া দেন কখনো কখনো।

গরিব হওয়ার কারণে মেয়ের পরিবারের লোকজন প্রেমে বাধা হয়। বড়লোকের ছলের লগে বিয়ে হয় মেয়েটার। সেই থাকে গান আর সুর সঙ্গী।শফিকুল ইসলাম

স্মৃতি হাতড়ে শফিকুল বলেন, একবার ঢাকায় রিকশা চালাতে গিয়েছিলেন। দৈনিক বাংলার মোড়ে রিকশা থামিয়ে একমনে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি ২০ তলা ভবন থেকে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তির চিৎকার শুনতে পান। ওপরে তাকাতেই ৫০ টাকার একটা নোট নিচে ফেলে দেন ওই ব্যক্তি। প্রশংসা করেন বাঁশির সুরের।

আলাপচারিতা একসময় আনমনে হয়ে পড়েন শফিকুল। বলেন, ‘মন তো (মনে) না পাওয়ার কষ্ট আচে। ১৬ বছর বয়সে এলাকার এক মেয়ের প্রেমে পড়চিনু। ৬ মাস ভালোই চলিচ্চিল সেই প্রেম। গরিব হওয়ার কারণে মেয়ের পরিবারের লোকজন প্রেমে বাধা হয়। বড়লোকের ছলের লগে বিয়ে হয় মেয়েটার। সেই থাকে গান আর সুর সঙ্গী। আরও পরে সঙ্গী হয় বাঁশি। এহন বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলে থাকপার চেষ্টা করি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানি খেলোয়াড়ের থ্রো লাগল আম্পায়ারের মাথায়, এরপর যা হলো
  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার