ধানমন্ডির বত্রিশের ভাঙা বাড়িতে ন্যানসি
Published: 20th, March 2025 GMT
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। আদতে বাড়িটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এ ঘটনার দেড় মাস পর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া বাড়িতে গিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসি। ভাঙা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তোলা একটি ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ‘দ্বিধা’খ্যাত এই গায়িকা।
এ ছবির ক্যাপশন হিসেবে ন্যানসি ব্যবহার করেছেন শাহনাজ রহমতউল্লাহর গাওয়া বিখ্যাত গানের কয়েক চরণ। ন্যানসি লেখেন, “প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ। পরাধীনতার শেকল মুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা।”
আরো পড়ুন:
ঢাকায় আসছে পাকিস্তানি ব্যান্ড ‘জুনুন’
ফের একসঙ্গে তারা
ন্যানসির পোস্টকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে সমালোচনা। কমেন্ট সেকশন বন্ধ থাকায় তার পোস্টটি শেয়ার করে ক্যাপশনে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। যার বড় একটি অংশে তাকে আক্রমণ করছেন কেউ কেউ। অনেক আবার ন্যানসির পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়।
ন্যানসির ছবির ক্যাপশন নিয়ে চলছে আলোচনা। কারণ শাহনাজ রহমতউল্লাহর গাওয়া দেশাত্মবোধক গানটি ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংগীত করার প্রস্তাব করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এরপরও একাধিকবার এ প্রস্তাব উঠেছে। সর্বশেষ নানা কারণে এ প্রস্তাব বাস্তবে রূপ নেয়নি।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসি দীর্ঘ সংগীতজীবনে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় গত সরকারের আমলে নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। দীর্ঘদিন কোণঠাসা ছিলেন এই শিল্পী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’