গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। আদতে বাড়িটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

এ ঘটনার দেড় মাস পর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া বাড়িতে গিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসি। ভাঙা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তোলা একটি ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ‘দ্বিধা’খ্যাত এই গায়িকা।

এ ছবির ক্যাপশন হিসেবে ন্যানসি ব্যবহার করেছেন শাহনাজ রহমতউল্লাহর গাওয়া বিখ্যাত গানের কয়েক চরণ। ন্যানসি লেখেন, “প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ। পরাধীনতার শেকল মুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা।”

আরো পড়ুন:

ঢাকায় আসছে পাকিস্তানি ব্যান্ড ‘জুনুন’

ফের একসঙ্গে তারা

ন্যানসির পোস্টকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে সমালোচনা। কমেন্ট সেকশন বন্ধ থাকায় তার পোস্টটি শেয়ার করে ক্যাপশনে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। যার বড় একটি অংশে তাকে আক্রমণ করছেন কেউ কেউ। অনেক আবার ন্যানসির পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়। 

ন্যানসির ছবির ক্যাপশন নিয়ে চলছে আলোচনা। কারণ শাহনাজ রহমতউল্লাহর গাওয়া দেশাত্মবোধক গানটি ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংগীত করার প্রস্তাব করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এরপরও একাধিকবার এ প্রস্তাব উঠেছে। সর্বশেষ নানা কারণে এ প্রস্তাব বাস্তবে রূপ নেয়নি। 

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসি দীর্ঘ সংগীতজীবনে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় গত সরকারের আমলে নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। দীর্ঘদিন কোণঠাসা ছিলেন এই শিল্পী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ