ফতুল্লায় শিশুকে ধর্ষণের চেস্টার অভিযোগে গণপিটুনি, পুলিশে সোর্পদ
Published: 20th, March 2025 GMT
ফতুল্লার দাপায় ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেস্টার অভিযোগে আমানউল্লাহ (৫২) কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। আটককৃত আমানউল্লাহ বাক প্রতিবন্ধী ও ফতুল্লা ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হোসেনের শ্বশুড় বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাত ১১ দিকে ফতুল্লা মডেল থানার দাপা ইদ্রাকপুরস্থ খেজপাড়া এলাকায়।
জানা যায়, বুধবার রাত ১১ টার দিকে গ্রেফতারকৃত আমানউল্লাহ একই বাড়ীর ভাড়াটিয়ার ৫ বছরের শিশু কন্যা কে কৌশলে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত বুলায় এক পর্যায়ে মুখ চেপে ধর্ষণের চেস্টা করে। শিশুটি ডাক চিৎকার করলে পাশ্ববর্তী ভাড়াটিয়া পুরুষ-মহিলারা এগিয়ে এসে বিষয়টি দেখতে পেয়ে আমানউল্লাহ কে আটক করে গণপিটুনী দেয়।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমান উল্লার মেয়ের জামাই বিএনপি হোসেন ও অপর এক থানা বিএনপি নেতা স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেস্টা করেন। কিন্ত এরই মধ্যে ঘটনার সংবাদ পৌছে যায় ফতুল্লা থানা পুলিশের নিকট। রাত একটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মধ্যস্থকারীরা সটকে পরেন। পুলিশ আমান উল্লাহ কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক(তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল।
আরো পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস
চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।
জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।
এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।
ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী