আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি। আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট মোড়ে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে নগরের আন্দরকিল্লা মোড় থেকে মিছিল নিয়ে আসেন নেতা-কর্মীরা। জাতীয় নাগরিক পার্টির ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক রাসেল আহমেদ, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, কার্যনির্বাহী সদস্য জোবায়রুল আলম, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ, যুগ্ম সদস্যসচিব রিজাউর রহমান প্রমুখ। এ ছাড়া সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘ছয়-সাত মাস হয়ে গেছে এখনো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি। গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাব। কিন্তু কেউ যদি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায় তাহলে বলব, চূড়ান্ত মুক্তির পথ মৃত্যু। প্রয়োজন হলে আরও আবু সাঈদ শহীদ হবে, তবু আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত হতে দেওয়া যাবে না।’

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ বলেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ হয়ে গেছে। এখন শুধু অফিশিয়াল ঘোষণা বাকি। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করলে জুলাই আন্দোলন আবার হবে। ভারতের প্রেসক্রিপশন বাংলাদেশে চলবে না। প্রতিটি দলকে আওয়ামী লীগের বিষিয়ে সিদ্ধান্ত পরিষ্কার করতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ