শীতে অনেকেরই পা ফাটে। এই মৌসুমে পানি কম খাওয়ার কারণে শরীর ডিহাইড্রেট থাকে, তা ছাড়া বাতাসে আর্দ্রতাও কম থাকে বলে অনেকে এই সমস্যায় ভোগেন। তবে কেউ কেউ শুধু শীতকালে নয়, পা ফাটার সমস্যায় ভোগেন বছরজুড়েই। কেন? এর পেছনে থাকতে পারে বিভিন্ন শারীরিক ও বাহ্যিক কারণ। জেনে রাখুন কারণ ও করণীয়।

১. চর্মরোগসহ ত্বকের নানা সমস্যা

পামোপ্লান্টার কেরাটোডার্মা নামের বংশগত রোগের কারণে হাত–পায়ের চামড়া ফেটে যেতে পারে।

অসংক্রামক চর্মরোগ সোরিয়াসিসের ফলে পায়ের তালুতে পুরু, খসখসে চামড়ার স্তর তৈরি হতে পারে। এর ফলে পরবর্তীকালে ত্বক ফেটে যায়।

একজিমা ত্বক শুষ্ক করে তুলতে পারে, যা পরে হাইপারকেরাটোসিসে রূপ নিতে পারে এবং পা ফেটে যেতে পারে।

ইকথায়োসিসও একটি বংশগত রোগ, যা ত্বক পুরু ও শুষ্ক করে তোলে। এর ফলে ত্বক ফেটে যেতে পারে।

লাইকেন প্ল্যানাস একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহজনিত ত্বকের রোগ, যা ত্বক পুরু ও খসখসে করতে পারে।

আঁটসাঁট জুতা পরলে পায়ের কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় অতিরিক্ত চাপ পড়ে ফেটে যেতে পারে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু এ বছরই: রুশ রাষ্ট্রদূত

চলতি বছরের শেষ নাগাদ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ম্যান্টিতস্কি। রোববার রাশিয়া দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ বছর রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ের ৮০ বছর উদযাপন করছে। একইসঙ্গে সোভিয়েত পারমাণবিক শিল্প প্রতিষ্ঠারও ৮০ বছর। এই গৌরবময় সময়ে রূপপুর প্রকল্পের অগ্রগতি আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।’ তিনি জানান, রুশ ও বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের যৌথ প্রচেষ্টায় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং প্রথম ইউনিট উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর প্রকল্প শুধু প্রযুক্তিগত নয়, রাশিয়া-বাংলাদেশ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ জ্বালানি খাতে একটি নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা ‘রোসাটম’ এর সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদনক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং বর্তমানে প্রকল্পের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক চালুর প্রস্তুতিতে রয়েছে।

উল্লেখ্য, রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়ার প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন রয়েছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর অন্যতম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু এ বছরই: রুশ রাষ্ট্রদূত