প্রবাসী বোনের ফ্ল্যাট থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
Published: 23rd, March 2025 GMT
সিলেটের বিশ্বনাথে একটি ফ্ল্যাট থেকে মশারির স্ট্যান্ডের সঙ্গে অর্ধঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শহরের রামপাশা রোডে রোজিস টাওয়ার নামে একটি ভবনের ফ্ল্যাট থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত আবদুল মুকিত উপজেলার মিরেরচর গ্রামের আবদুস শহিদের ছেলে। ফ্ল্যাটটি তাঁর প্রবাসী বোনের বলে জানা গেছে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা মনে করলেও নিহতের স্বজনের দাবি, এটি হত্যাকাণ্ড। তারা বলছেন, লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া একটি পা মশারির স্ট্যান্ডের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। যে কারণে হত্যা, না আত্মহত্যা– তা নিশ্চিতে যথাযথ তদন্ত প্রয়োজন।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, আবদুল মুকিত বিশ্বনাথ পৌর শহরের একটি সুপারশপে চাকরি করতেন। রামপাশা রোডে তাঁর যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বড় বোনের ফ্ল্যাট। এটি দেখাশোনা করতেন মুকিত। তবে ওই ফ্ল্যাটে কোনো ভাড়াটে ছিল না। শনিবার রাতে তিনি বাড়ি না ফেরায় তাঁর খোঁজ করতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। সাহ্রির সময় সিকিউরিটি গার্ডের কাছে জানতে পারেন, ওই ফ্ল্যাটে বাতি জ্বলছে। পরে পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান। দরজার পাশের খোলা জানালা দিয়ে ছিটকিনি খুলে ফ্ল্যাটের ভেতরে ঢুকে একটি কক্ষে মশারির স্ট্যান্ডের সঙ্গে মুকিতের ঝুলন্ত নিথর দেহ দেখতে পান তারা। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা। তবে লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়া হত্যা, না আত্মহত্যা– তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারসাম্যহীন বৃদ্ধের ব্যাগে সাড়ে ৩ লাখ টাকা
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক বৃদ্ধের ময়লা কাপড়ের ব্যাগে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৫২ টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেলে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় গোসল করানোর সময় তাঁর ব্যাগ তল্লাশি করে টাকাগুলো পান। পুলিশ টাকাসহ বৃদ্ধকে নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আবদুল গনি নামের মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধকে শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, পুলিশ ক্লাব ও পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দেখা যায়। কারও কাছে তিনি কখনও টাকা চান না। লোকজন এমনিতেই তাকে টাকা ও খাবার দিতেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কয়েকজন সদস্য বৃদ্ধকে গোসল করানোর উদ্যোগ নেন। তাকে ধরে গায়ের পোশাক খুলছিলেন তারা। এ সময় তার গায়ের শার্টের হাতা, কলার ও কাপড়ের ব্যাগে থাকা টাকাগুলো পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে তার নাম আবদুল গনি বলে জানা গেছে। তার কাছ থেকে পাওয়া টাকাগুলো পুলিশের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তার নিকটাত্মীয়-স্বজন খোঁজা হচ্ছে। কাউকে পেলে টাকাগুলো তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।