নির্মাতা এম রাহিম পরিচালিত ‘জংলি’ সিনেমাটি সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়েছে। ২৪ মার্চ ইউ গ্রেডে (ইউনিভার্সাল গ্রেড) মুক্তির অনুমতি পেয়েছে সিয়াম আহমেদ, বুবলী ও দিঘী জুটির সিনেমাটি। 

ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার অভি সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের সিনেমা হিসেবে এই ছবিটিই প্রথম আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র পেল। ফলে সব বয়সীরাই দেখতে পারবেন সিনেমাটি।’

সেন্সর সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে সিনেমার প্রযোজক অভি বলেন, “ঈদের সিনেমা হিসেবে প্রথম বিনা কর্তনে সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে ‘জংলি’। পাশাপাশি সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা সিনেমাটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এই ছবিতে সিয়াম আহমেদ যে পরিশ্রম করেছেন তা দেখেও মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন তারা। আমার বিশ্বাস সিনেমা হলে জংলি দর্শকদের প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ করতে পারবে “

সিয়াম আহমেদ, বুবলী ও দিঘী ছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ।

ছবিটির চারটি গানের সুর ও সংগীত করেছেন প্রিন্স মাহমুদ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ ব বল কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ