শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
Published: 26th, March 2025 GMT
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে জনতা। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা ওই শিক্ষককে একমাত্র আসামি করে সাতকানিয়া থানায় মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার শিক্ষকের নাম মো.
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিশুটি ধর্মপুর ইউনিয়নের একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। একই মাদ্রাসায় দুই বছর ধরে শিক্ষকতা করে আফনান। গত সোমবার রাতে সে নিজকক্ষে ডেকে নিয়ে শিশুটিকে বলাৎকার করে। পরদিন সকালে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে ঘটনা জানালে তারা বিষয়টি স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিকে অবগত করেন। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা স্বীকার করে আফনান। এ ঘটনা জানতে পেরে উত্তেজিত জনতা আফনানকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, ওই শিক্ষক তাঁর ছেলের সঙ্গে আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি এতদিন গোপন করেছিলেন। পরে বিবেকের তাড়নায় বিষয়টি তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিকে জানান। এ সময় লোকজন ওই শিক্ষককে মারধর করে পুলিশে দেয়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে আসামিকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার সকালে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ক ষকক ওই শ ক আফন ন
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।
মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।