মিয়ানমারের হাসপাতালে বাড়ছে আহতদের ভিড়, সেবা দিতে হিমশিম
Published: 28th, March 2025 GMT
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে আহতদের ভিড়। বিপুল সংখ্যক রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। খবর এএফপির।
স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার দেশটির রাজধানী নেপিদোতে অবস্থিত এক হাজার শয্যার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আহতদের লম্বা সারি দেখা গেছে। কিছু আহত ব্যক্তি ব্যথায় ছটফট করছেন, অন্যরা শঙ্কিত অবস্থায় পড়ে আছেন। স্বজনেরা তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কারও কারও হাতে ইনট্রাভেনাস ড্রিপ লাগানো ছিল।
হাসপাতালটিতে বানের জোয়ারের মতো আসছেন আহতরা- কেউ গাড়িতে, কেউ পিকআপে, আবার কাউকে স্ট্রেচারে করে আনা হচ্ছে। তাদের শরীর রক্তাক্ত এবং ধুলোতে আচ্ছাদিত।
হাসপাতালের একজন চিকিৎসক এএফপিকে বলেন, আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। ভীষণ ক্লান্ত।
হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, শত শত আহত মানুষ আসছে, কিন্তু এখানে জরুরি ভবনও ধসে পড়েছে।
আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং।
আজ দুপুরে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প, যার কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে। এর তীব্র প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন ও থাইল্যান্ডে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু
জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ হওয়ার ১৭ দিন পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে প্রয়োজনে রোগী ভর্তি রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ৪ জুন জরুরি বিভাগ ও ১২ জুন সীমিত পরিসরে আউটডোরের সেবা চালু করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, শনিবার সকাল থেকে হাসপাতাল পুরোদমে সেবা চালু হয়েছে। রোগীদের সেবা দিতে চাই এবং চিকিৎসক-নার্সদেরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে চাই।
কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা সকাল থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছি জরুরি ও বহির্বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। প্রয়োজনে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৮ মে আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালটিতে শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করেছে।
সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ছাড়পত্র দিলেও ঈদের ছুটি শেষে তারা আবারও দুয়েকজন করে এই হাসপাতালে ফিরতে শুরু করেছেন। জুলাই আহতরা জানিয়েছেন- তারা এ হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।