মাদ্রাসার জমিতে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ
Published: 28th, March 2025 GMT
নাটোরের সিংড়ায় ইন্দ্রাসুন মাদ্রাসার জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে গতকাল ইন্দ্রাসুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাঁর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলাকার চার শতাধিক বাসিন্দা। ইটালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী খাদেমুল বাসার টিটুর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ৪০ বছর পর জালিয়াতির মাধ্যমে মাদ্রাসারা জায়গা দখলের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। মানববন্ধনে মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন মৃধা, হয়েজ উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ৪০ বছর আগে আছের উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ইন্দ্রাসুন মাদ্রাসার নামে ১৮ শতাংশ জায়গা দান করেন। সে সময় মাদ্রাসার সভাপতি ছিলেন বিএনপি নেতা টিটুর বাবা কাজী কফিল উদ্দিন। জালিয়াতির মাধ্যমে ছয় শতাংশ জায়গা তৎকালীন সভাপতি নিজের নামে লিখে নেন। টিটু সে জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেন।
জমিদাতা প্রয়াত আছের উদ্দিনের ছেলে ইব্রাহীম হোসেন বলেন, তাঁর বাবা ১৮ শতাংশ জায়গা দান করেন। সেই দলিলের তিনি শনাক্তকারী রয়েছেন।
মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল জলিল দ্রুত বাড়ি উচ্ছেদের দাবি জানান। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে কাজী খাদেমুল বাসার টিটুর মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) দ্রুত তফসিল ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘হয় মোদের চাকসু দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’, ‘চাকসু মোদের অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’—এমন স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জে বিশ্বে তৃতীয় ইউআইইউ
জবির প্রভাবশালী আওয়ামীপন্থি ‘ক্যাডার’ শিক্ষকরা যেখানে আছেন
আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, “জুলাই মাসে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হওয়ার ঘটনাগুলো আমাদের জানা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীও সে সময় শহীদ হয়েছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সবার আগে চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা ছিল, কিন্তু এখনও কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ ডাকসু, রাকসু, জাকসুর তফসিল ঘোষণা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা অনুমোদনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এরপর আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। “যদি তা না হয়, তাহলে আমরা দুর্বার ছাত্রআন্দোলনের দিকে যাব,” বলেন তিনি।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, “দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এরইমধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা এতদিন রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, এখন আর রোডম্যাপ নয়—তফসিল চাই।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে সক্রিয় ছাত্র সংসদ। তাই আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তফসিল এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন চাই।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত হলে নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণা করবেন।”
চাকসু গঠনের ধারণা মূলত এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর আদলে। বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
১৯৭০ সালে চাকসুর প্রথম কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৮ মে। এই নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল বিজয়ী হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আর কোনো চাকসু নির্বাচন হয়নি।
২০২৫ সালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হওয়ায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসুর মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
ঢাকা/মিজানুর রহমান/ইভা