হলান্ড, এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস—কার বেতন বেশি
Published: 29th, March 2025 GMT
লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যখন ইউরোপের ফুটবলে খেলেছেন, তাঁরাই ছিলেন মূলত শীর্ষ বেতনের ফুটবলার। মেসি মার্কিন মুলুকে আর রোনালদো মরুর দেশ সৌদি আরবে পাড়ি জমানোর পর ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের কোনটাতে কে সবচেয়ে বেশি বেতনের খেলোয়াড়—এমন প্রশ্ন ফুটবলপ্রেমীদের মনে উঁকি দেয়। নিজস্ব সূত্র ব্যবহার করে এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে ফরাসি পত্রিকা লেকিপ। সেখানে উঠে এসেছে শীর্ষ পাঁচ লিগে কোন খেলোয়াড় বেশি বেতন পাচ্ছেন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগঅনুমিতভাবেই ইংল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি বেতনের খেলোয়াড়টি ম্যানচেস্টার সিটির। আর এটা যে দলটির নরওয়েজিয়ান গোলমেশিন আর্লিং হলান্ডই হবেন, সেটাও মনে হয় অনেকেই অনুমান করে থাকবেন। এ তালিকার দ্বিতীয় খেলোয়াড়ও ম্যান সিটির বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা।
লা লিগাস্বাভাবিকভাবেই লা লিগার শীর্ষ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়দের তালিকায় রিয়াল মাদ্রিদের আধিপত্য। তালিকার প্রথম দুটি নাম যথাক্রমে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ছয়জনের মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদের আরও দুজন আছেন। একজন বার্সেলোনার, একজন আতলেতিকো মাদ্রিদের।
সিরি আএখানেও খুব একটা ব্যতিক্রম নেই। শীর্ষ বেতনের খেলোয়াড়দের তালিকার প্রথম পাঁচে বড় ক্লাবগুলোরই আধিপত্য। তবে সর্বোচ্চ তিনজন আছেন ইন্টার মিলান থেকে।
ফ্রেঞ্চ লিগ আঁফরাসি লিগে পিএসজিই যে সবচেয়ে বেশি বেতন দেবে, এটা ধরেই নেওয়া যায়। কিন্তু তালিকার শীর্ষ পাঁচে যে আর কোনো ক্লাবের খেলোয়াড় থাকবেনই না, এটা অনুমান করা সত্যি যে কারও জন্যই একটু হলেও কঠিন।
বুন্দেসলিগাফ্রেঞ্চ লিগ আঁর মতো জার্মান বুন্দেসলিগায় একচ্ছত্র আধিপত্য বায়ার্ন মিউনিখের। শীর্ষ পাঁচে অন্য কোনো ক্লাবের কেউ নেই।
পাঁচ লিগ মিলিয়েপাঁচ লিগ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি বেতনের তালিকা করলে সেখানে আবার লা লিগার আধিপত্য। শীর্ষ ছয়ের তিনজনই স্পেনের ক্লাবগুলোর। এর মধ্যে দুজন রিয়াল মাদ্রিদের, একজন বার্সেলোনার।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি
শোবিজের একঝাঁক একঝাঁক অভিনয়শিল্পীকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রথমে ইরেশ যাকের, তারপর সুবর্ণা মুস্তাফা, অপু বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, নিপুণসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে। এরই মধ্যে গতকাল অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর ও লাঞ্ছিত করে রাজধানীর রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়। এসব বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চা চলছে। এ নিয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
সিদ্দিকের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনা ঘটনা নিয়ে আজাদ আবুল কালাম গণমাধ্যমে বলেন, “সিদ্দিকের সঙ্গে যা ঘটেছে, এটা তো মব। এই মব ভায়োলেন্সকে তো ঠেকাচ্ছে না। কেন যেন মনে হচ্ছে, মব ভায়োলেন্সকে নীরবে বলা হচ্ছে, করে যাও। আমাদের কিছুই করার নেই। একজনের রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা থাকতে পারে। অভিনেতা হিসেবে সিদ্দিক সবার কাছে পরিচিত। কিছু লোক তাকে এভাবে রাস্তায় ধরে মেরে দেবে!”
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আজাদ আবুল কালাম বলেন, “দলবদ্ধভাবে সিদ্দিককে শারীরিকভাবে আঘাত করেছে, আক্রমণ করেছে, গায়ে থেকে জামাকাপড় খুলে ফেলেছে, এরপর থানায় সোপর্দ করেছে। থানায় যদি সোপর্দ করতেই হয়, তাহলে প্রথমে কেন আইন হাতে তুলে নিল? তাকে হেনস্তা করে আইনের হাতে তুলে দেবে— এই মব জাস্টিস, মব ভায়োলেন্স সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। এটা তো একটা সময় নানা স্তরে হবে। এসব কর্মকাণ্ড সরকারকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে, যেখানে মব ভায়োলেন্স, সেখানে কঠোর হস্তে দমন করবে।”
ঢালাওভাবে অভিনয়শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়ে বিস্মিত আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, “ঢালাওভাবে হত্যা মামলা হচ্ছে! দেখে মনে হচ্ছে, সবাইকে মামলার মধ্যে ফেলতে হবে। ৩০০-৪০০ জন মামলার আসামি, এটা অবাস্তব একটা অবস্থা। একজন সুবর্ণা মুস্তাফার মতো শিল্পী রাস্তায় গিয়ে মানুষকে গুলি করবে? যে মানুষটি মামলা করেছেন, তিনি আন্দোলনের সময় আহত হয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন; তিনি মামলা করেছিলেন অনেক লোকের নামে। মামলার নথিতে শিল্পীদের অনেকের নাম দেখলাম, তারা রাস্তায় নেমে মানুষকে গুলি করবে!”
সরকারিভাবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা উচিত বলে মনে করেন আজাদ আবুল কালাম। তিনি বলেন, “সরকারিভাবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও উচিত হবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা। নিরুৎসাহিত করা। যে ব্যক্তি মামলা করছেন, যদি প্রমাণিত হয়, শিল্পীরা কেউই গুলি করেনি, তখন তো এটা মিথ্যা মামলা হবে। এ রকম মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে, যে ব্যক্তি শিল্পীদের নামে মামলা করেছেন, তার কী শাস্তি হবে, তারও বিধান থাকতে হবে।”
“কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, তা জানানোর একটা প্রক্রিয়া আছে। শুধু শিল্পী না, একজন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে আপনি তার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত তাকে অপরাধী বলতে পারেন না। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে পারেন না। মামলা করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা শুরু করলেন, এই প্রক্রিয়া যদি চলতে থাকে, এটাই যদি আমাদের মনস্তত্ত্ব হয়, তাহলে বিভক্তি আরো বাড়বে।” বলেন আবুল কালাম আজাদ।