অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৩১ মার্চ) দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া শেষে সাংবাদিকদের  এসব কথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, “গত ১৫ বছরের চেয়ে এবারের ঈদ আনন্দটা আমাদের জন্য আলাদা। অনেক তফাৎ রয়েছে। আমরা মুক্ত পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছি। আমরা ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করে যাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “আমরা আমাদের নেতার মাজার জিয়ারত করেছি, দোয়া করেছি। একই সঙ্গে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা করেছি। ১৬ বছরের আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন তাদেরও রুহের মাগফেরাত কামনা করেছি। যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের জন্য সংগ্রাম করে শহীদ হয়েছেন, আত্মত্যাগ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও দোয়া করেছি।” 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, “যিনি যে পদে আছেন সেই মোতাবেক কাজ করবেন, সফল হবেন। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আশা করি, তারা সেটি পালন করবেন। আমরা অবশ্যই আমাদের দলের পক্ষ থেকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা পালন করবো।”

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলের ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান তিনি।

এ সময় তার সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রহম ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বাড্ডায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু

রাজধানীর বাড্ডায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রোববার বেলা সোয়া ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি।

আনোয়ারের স্বজনদের অভিযোগ, গত ৮ মে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে বাড্ডার ভূঁইয়াবাড়ি টেকপাড়া এলাকায় নুরা পাগলা, শুটার সালাউদ্দিন, মাহিন, ইউসুফ, নয়নসহ কয়েকজন আনোয়ারকে পথরোধ করে মারধর করেন এবং পেটে গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করে তাঁকে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবশেষে ১২ জুন আবার তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যান তিনি।

আনোয়ারের খালাতো ভাই আবদুল জব্বার বলেন, আনোয়ার আগে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। পরে তিনি নির্মাণসামগ্রীর ঠিকাদারি শুরু করেন। সব সময় তাঁর সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা থাকত।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গুলির ঘটনার পর আনোয়ারের পরিবারকে মামলা করতে বলেছিলেন। তখন তাঁরা মামলা করেননি। মারা যাওয়ার পর এখন মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত আনোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলায়। তিনি পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় থাকতেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ