ঈদের দ্বিতীয় দিনে জাতীয় চিড়িয়াখানায় পৌনে ২ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম
Published: 1st, April 2025 GMT
ঈদের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় পৌনে দুই লাখ দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার।
সাধারণত প্রতিবছরই ঈদের দ্বিতীয় দিন জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ব্যাপক সমাগম ঘটে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
রফিকুল ইসলাম তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, আজ সারা দিন চিড়িয়াখানায় একইভাবে লোকজন এসেছে। সারা দিন ভেতরে মানুষ প্রবেশ করেছে, বের হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে হাঁটার মতো অবস্থা ছিল না। ভেতর-বাহির একই অবস্থা। ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে।
আজ দুপুরে দেখা যায়, চিড়িয়াখানার দিকের সড়কে ব্যাপক যানজট। দীর্ঘ সময় লোকজনকে যানজটে বসে থাকতে হচ্ছে। অনেকেই বাস থেকে নেমে হেঁটে চিড়িয়াখানায় যাচ্ছেন।
একদিকে চিড়িয়াখানার রাস্তায় যেমন ব্যাপক যানজট, অন্যদিকে এই সড়কের ফুটপাত প্রশস্ত হলেও অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ দোকান বসায় দর্শনার্থীদের হাঁটতেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। প্রচুর মানুষ ফুটপাতে থাকায় স্বাভাবিকভাবে হাঁটাও যাচ্ছিল না।
ফুটপাত দিয়ে ভাগনের হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন মো.
মিরপুর-১ নম্বর এলাকার সনি সিনেমা হল এলাকা থেকে চিড়িয়াখানা পর্যন্ত আসতে অনেকেরই এক ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে।
রাজধানীর কামারপাড়া এলাকা থেকে মো. জুয়েল রানা তাঁর তিন ভাই ও তাঁদের পাঁচ সন্তানকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছেন। তাঁরা সনি সিনেমা হল এলাকা থেকে বাসে ওঠেন। যানজটের কারণে একপর্যায়ে বাস থেকে নেমে যান। জুয়েল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাস থেকে নেমে এক কিলোমিটারের মতো হেঁটে এসেছি। বাচ্চাদের নিয়ে হাঁটা যায় না। চিড়িয়াখানা পর্যন্ত আসতে এক ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে।’
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এখানে বাঘ, ভালুক, হরিণ, সিংহ, বানর, জলহস্তী, কুমির, সাপ, ইম্পালা, গয়াল, লামা, ময়না, টিয়া, ক্যাঙারু, জিরাফ, জেব্রা, হাতি, ময়ূর, উটপাখি, ইমু, শঙ্খচিল, কুড়াবাজ, তিলাবাজ, গন্ডার, হায়েনাসহ ১৩৬ প্রজাতির ৩ হাজার ৩৪টি প্রাণী ও পাখি রয়েছে।
প্রাণী ও পাখির প্রতি আকর্ষণের জায়গা থেকে ঈদের সময় চিড়িয়াখানায় বহু শিশু-কিশোরের আগমন ঘটে। যেহেতু শিশু-কিশোরেরা এখানে আসতে চায়, সে কারণে বহু পরিবারের সমাগম ঘটে।
ঢাকার অদূরে সাভার থেকে এক ছেলে, এক মেয়ে, শাশুড়ি ও দেবরকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন ইতি খন্দকার। তাঁরা সকাল সাড়ে ৯টায় উবারে রওনা দিয়ে সকাল ১০টায় চিড়িয়াখানায় পৌঁছান। ইতি খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাচ্চারা অনেক আনন্দ করেছে। শাশুড়িও মজার মানুষ, তিনিও আনন্দ করেছেন। আমরাও ঘুরলাম। সব মিলিয়ে চিড়িয়াখানায় আসা আনন্দময় হয়েছে।’
চিড়িয়াখানা দেখার জন্য দিনাজপুর থেকে এসেছিলেন আল আমিনসহ ১১ জন। আল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, শুধু চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখার জন্য পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে এত দূর এসেছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল ক য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
না-দেখা প্রেমের সুন্দরতার মতন
স্বপ্নের রং
বিকালের ঘুম স্বপ্নময়।
স্বপ্নে তোমার সাথে দেখা।
স্বপ্নের রং সবুজ। তারপর হালকা গোলাপি।
তোমার পরনের শাড়ির মতন। সুন্দর।
তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছিল।
তুমি বসে ছিলে। পাশ দিয়ে চলে যাবার সময় আমরা দেখেছিলাম পরস্পর।
তোমাকে ঘেঁষে আমি দাঁড়িয়েছিলাম। তোমাকে দেখছিলাম। না-দেখা প্রেমের সুন্দরতার মতন।
তুমি স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখার অনেক সমস্যা।
স্বপ্নের কোনো রং থাকে না।
তোমাকে ভালোবাসবার রং সবুজ ও গোলাপি।
তুমিও শিকার। আমি তার লব্ধ কারিগর।
তোমাকে তুলে এনে বাগানে রেখেছি।
প্রাকৃতিক। মায়ের শাল দুধের মতন নতুন।
অভিজ্ঞতাময়। শিহরিত অমূল্য রত্নধন।
আমি সুস্বাস্থ্যে তোমারে চেয়েছি, আপন।
পাই নাই রূপ, নিজের অরূপ কেমনে মেলে ধরি
তুমি এমন কারিগর, নিরুদ্দেশে, আজব শিকারি!
বসে থাকো, অরূপ ছায়া ধরে, ভাণ্ডে-ব্রহ্মাণ্ডে গোপন
নিরাকারে, তোমাকে আমায় দেখি, বায়ুর সিংহাসন।
একা একটা আকাশ মাথা বেয়ে পুকুরে এসে পড়েছিল। আমি দেখিনি! তার তীরে কিছুক্ষণ গল্পগুজব শেষে পাতা দেখছিলাম, গাছ দেখছিলাম। নৈবেদ্যসহ মায়াদেবীর মন খারাপ করা হাঁটুমোড়া ছায়া ছিল দেখছিলাম! সারা রাত কাল ছায়ারা ঘুরেছে একা। না দেখার তৃপ্তি আছে, দেখার আনন্দের চেয়েও। আমরা গাছ দেখি, পাতা দেখি—গাছের কষ্ট দেখি না। শিকড়ের আর্তনাদ দেখি না। পাতার শিরায় যেসব দুঃখরেখা সেসব দেখি না। এমনকি ভাবিও না তাদের অবহেলা ও উপেক্ষার কথা। আমরা সবাই ফুটফুটে বাচ্চার মুখের হাসির মতো আমাদের মুখ দেখতে চাই। আমরা জানি না, বেদনার শতমুখ আমাদের মুখে বসে কেমন মাতম করছে! কাল রাতে ছায়ারা জেগেছিল। তোমাকে ঘুমাতে না দেওয়ার অজুহাতে। তুমি ছিলে মাটির নিচে শিকড়ের নীরবতার মতো গহন ও বিস্তৃত ঘুমে।
ইচ্ছাকবিতাও শাওয়ারে যাইতে চায়, তোমারে শাওয়ারে দেখতে ইচ্ছা করে। সন্ধ্যার শাওয়ার নরম হয় কি না। কত কিছু ইচ্ছা হয় হাওয়ামুখর সন্ধ্যায়। বেল ফল হিসেবে অনেক ভালো, সুস্বাদু, পরোপকারী; তারে চামড়াসহ খাইতে কত শখ, আজও মেটে নাই। তোমারে দেখার কত বাসনা! মিঠাপুকুর কেন যাওয়া হয়নি, আজও তারও কোনো কারণ নাই; অথচ দিল্লি, লরা দত্ত, আফ্রিকা, গ্রেভসের কালো কালো উত্তাপ, রাজ্য ও রাষ্ট্রে কত শাদা প্রেম রাষ্ট্র হয় জানা হয় নাই। এত কিছু না হওয়ার সাথে তোমারে দেখতে চাওয়ার যেসব মিল, তারাও পরাবাস্তব, উড়ালপ্রিয় বৃষ্টির আগে-পরে। আগে পরে কত প্লেন ওঠানামা করে, কত মন ক্ষয় হয় পূর্ণ বিষাদে, কতজন প্রিয়াঙ্গনে জড়ায়া ঘুমাতে যায়। আর তোমারে, বিউটি লাক্স, দুরন্ত কসমেটিকস, উড়ন্ত বডি স্প্রে, খয়েরি লিপস্টিক, মাশকারার আনন্দ আর কত রকমের জেল, প্রিয় রেভলনসামগ্রী, আহা জেলিফিশ, কত ভাব লয়া ঘনিষ্ঠভাবে কত উপচারে দেখে দেখে খুশিতে ক্লান্ত হয়! এই সব সুগন্ধে তাজা ভাব জাগে, মনকাড়া কবিতাও টাওয়ারে উঠে শাওয়ারে যাইতে চায়;—এই চাওয়া নিরপরাধ, ঘনিষ্ঠ, আপনায়- তোমারে শাওয়ারে চায়। অথচ আমি কোনো দিন একটাও ধরি নাই চড়াই, শালিকের লেজ। আর তোমার উত্তেজে দ্বিত্ব সত্তায় পরাবাস্তব শরীরের দিকে হেলে পড়ি, সমুদ্রজলের উচ্ছ্বাসের সমান তোলপাড়, পাড়ে পাড়ে ফেনার সমান মনে তোমার শাওয়ার আমারে ভাসায়া ডুবায়া কই থিকা কই লয়া যায়! আমার আর কিচ্ছু ইচ্ছা করে না তোমারে শাওয়ারে ছাড়া।
লীলাআমি লীলা পরাই ছন্দে ছন্দে ভাব; আমি মরি মরি হেসে। পরাই ছন্দে হাসি, নৃত্যে ছড়াই গান সন্ধ্যাভাব বিলাসে। আমি লীলা আমার পায়ে পায়ে মদ, মত্ত চোখের উন্মাদনা আমার কণ্ঠে উথাল ঢেউ, গন্ধে বর্ণ ভাসাই অভিলাষে। আমি লীলা আনীলা পরানসখি, জড়াই বায়ু দেহে, সস্নেহে বিষ পুড়াই অন্তর, ভাব অভিনব, ওড়াই অনায়াসে। আমি লীলা দুর্লভ সংকেতে রেখে যাই সবুজ চিহ্ন, আগুন, আন্ধার, আলোর তিয়াসে। আমি লীলা সর্বনামে আপনায় আপন মদে, আপনার মাঝে আমি অরূপে রূপরে সাজাই সকাশে। আমি লীলা করি। হাসি। ভাসিয়া বেড়াই।