দেশ সংস্কারের আগে উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। আজ শনিবার ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ খান বলেন, বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। উপদেষ্টাদের কেউ কেউ গণহত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে শেল্টার (আশ্রয়) দিচ্ছেন। আদালত থেকে উপদেষ্টাদের ইশারায় ডামি এমপিরা জামিন পেয়েছেন। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে এখনও আওয়ামী লীগের দোসরদের দৌরাত্ম্য টিকে আছে। তাই দেশ সংস্কারের আগে উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার, ডিসি অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্র উপদেষ্টা রয়েছেন, অর্থাৎ বৈষম্যবিরোধী বা এনসিপি অথবা অন্যরা যদি এখন সরকারে থাকে, তাহলে দেশে কোনোভাবেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।

রাশেদ খান বলেন, এর আগে আমরা দাবি জানিয়েছি, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে, প্রকাশ্যে বিচার করতে হবে। শুধু শেখ হাসিনা নয়, তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গসহ সব অপরাধীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিচার করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারকে কূটনৈতিক পদক্ষেপ বাড়াতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা সেই তৎপরতা বৃদ্ধি করছেন। কিন্তু তাঁর আশপাশে যারা রয়েছেন, তারা কী ভূমিকা রাখবেন, সেটি নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। 

গণঅধিকার পরিষদের জেলা শাখার উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। সভায় দলটির জেলা সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, সদর উপজেলা সভাপতি হালিম পারভেজ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি রাকিবুল হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সাধারণ সম্পাদক রিহান হোসেন রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।

আরো পড়ুন:

নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়নি: ঢামেক পরিচালক

গণঅধিকারের সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতা: জাতীয় পার্টিকে দ্রুত নিষিদ্ধ কর‌তে হবে

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “নুরুল হক নুরকে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন-১ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পরে বিকেল পোনে ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।”

এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে সংঘর্ষ হয়, এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।

নুরুল হক নুরকে প্রথমে রাজধানীর ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর