সিরাজগঞ্জে ২ পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ৪
Published: 6th, April 2025 GMT
সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বাহিরগোলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। রবিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনায়েদ বিন কবির।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার (৫ এপ্রিল) বাহিরগোলায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় ইট নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত সাতজন আহত হন। আজও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জাড়ায়। এতে তিনজন আহত হন।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তাওহীরের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশ ,র্যাব ও সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের সিরাজগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। যৌথবাহিনীর অভিযানের পর বাহিরগোলায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আরো পড়ুন:
শরিয়তপুরে ককটেল বিস্ফোরণ, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
জলাশয় ইজারার বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত
সিরাজগঞ্জে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনায়েদ বিন কবির বলেন, “সিরাজগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।”
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, “শহরের বাহিরগোলায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় যৌথবাহিনী চারজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগের পর মামলা দায়েরসহ আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।”
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আটক ব হ রগ ল য় স র জগঞ জ স ঘর ষ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস