বাংলাদেশিদের ওপর সৌদি আরবের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
Published: 8th, April 2025 GMT
বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের নাগরিকের ওপর অস্থায়ী ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ ভারত, পাকিস্তান, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, নাইজেরিয়া, জর্ডান, আলজেরিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন ও মরক্কো। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
অস্থায়ীভাবে এসব দেশের নাগরিকদের ওপর ওমরাহ, ব্যবসা, ভ্রমণ ও পারিবারিক ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা জুনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবে। ওই সময় পবিত্র মক্কায় হজ করবেন বিশ্বের লাখ লাখ মুসল্লি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, এ দেশগুলোর কেউ যেন অনুমতি ছাড়া হজ না করতে পারেন সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এসব দেশের যাদের কাছে ওমরাহ ভিসা আছে তারা ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
তারা জানিয়েছে, অনেকে এর আগে ওমরাহ ও ভ্রমণ ভিসা নিয়ে সৌদিতে এসে বেশি সময় থেকেছেন এবং অনুমতি ছাড়া হজ করার চেষ্টা করেছেন। যেটির কারণে অতিরিক্ত গরমের মধ্যে হজে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ হয়ে গিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের হজে অতিরিক্ত গরমে ১ হাজার ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়। অনুমতি না থাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবুতে প্রবেশ করতে না পারায় পানিশূন্য হয়ে তাদের মৃত্যু হয়।
আরেকটি কারণ হলো- এসব দেশের অনেক মানুষ ভ্রমণ, ওমরাহ বা ব্যবসায়িক ও পারিবারিক ভিসা নিয়ে সৌদিতে এসে কাজ করার চেষ্টা করেন।
এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এ দেশগুলোকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি। কারণ এরসঙ্গে কূটনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। মূলত সাধারণ মুসল্লিরা যেন স্বাচ্ছন্দে হজ করতে পারেন সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত সৌদিতে হজের মৌসুম চলবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স দ আরব ওমর হ ওমর হ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।