গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিএনপির র্যালি আজ
Published: 10th, April 2025 GMT
গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদ এবং নির্যাতনের শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সমাবেশ ও র্যালি করবে বিএনপি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব মহানগরে পালন করা হবে এ কর্মসূচি। গতকাল বুধবার বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিকেল ৪টায় র্যালি শুরু হবে। এটি কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মগবাজার হয়ে বাংলামটরে গিয়ে শেষ হবে। বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ জনগণকে এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘদিন বিরতির পর ঘোষিত এ কর্মসূচিতে ব্যাপক লোকসমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর বিএনপি ছাড়াও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে গতকাল দিনভর প্রস্তুতি সভা হয়। এ কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেন, দেন বিভিন্ন পরামর্শ। সেসব বাস্তবায়ন করতে নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতারা। প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও পাড়া-মহল্লায় র্যালিতে জনসাধারণের উপস্থিতি বাড়াতে করা হয়েছে মাইকিং। মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে সভায় ঢাকার ২৬টি থানা, ৭১টি ওয়ার্ড ও সব ইউনিটের দায়িত্বশীল নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দক্ষিণেও এমন যৌথসভা করেন দলের নেতারা।
মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক সমকালকে জানান, ইসরায়েলের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতা থেকে ফিলিস্তিনের নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাচ্ছেন না। বাড়িঘর ও বেসামরিক সব স্থাপনা ধ্বংস করা হচ্ছে। হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। এই বর্বরতা ও গণহত্যার প্রতিবাদ জানাতে আমরা এ কর্মসূচি নিয়েছি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ