দুর্বৃত্তদের কবলে ইবি ছাত্রী, ইজিবাইকসহ মালামাল ছিনতাই
Published: 10th, April 2025 GMT
ক্যাম্পাসে আসার সময় সড়কে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রী। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোরে দিনাজপুর জেলার রানীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, ক্যাম্পাসে আসার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার বাস ধরার জন্য তিনি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একজন পরিচিত ইজিবাইক চালকের সঙ্গে রওনা দেন। পথে একটি নির্জন স্থানে পৌঁছালে হঠাৎ ৫-৬ জন ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে এবং গলায় রামদা ধরে টাকা-পয়সা ও মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় ছিনতাইকারীরা চালককে বেঁধে রেখে ইজিবাইকসহ পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, প্রথমে দুর্বৃত্তরা চালকের মোবাইল ফোন ও ইজিবাইকের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে নেয় এবং তাকে বেঁধে ফেলে। পরে তার গলায় রামদা ধরে ভয় দেখিয়ে কাছে থাকা টাকা-পয়সা দাবি করে। প্রাণভয়ে তিনি সঙ্গে থাকা আড়াই হাজার টাকা দিয়ে দেন।
আরো পড়ুন:
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ইবিতে শাটডাউন কর্মসূচি
গাজায় গণহত্যা: প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইবি শিক্ষার্থীর
তিনি আরও জানান, ইজিবাইকে থাকা তার একটি লাগেজও নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এতে তার ল্যাপটপ ও প্রয়োজনীয় জামা-কাপড় ছিল। পরে ওই ছাত্রী রাস্তার পাশে থাকা এতিমখানায় গিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করে। তবে তার কাছে থাকা মোবাইলটি নিতে পারেনি ছিনতাইকারীরা। পরবর্তীতে বাড়িতে যোগাযোগ করলে পরিবারের সদস্যরা এসে বাড়িতে নিয়ে যান।
ওই ছাত্রী বলেন, “আমি সবসময়ই এই রাস্তায় একাই যাতায়াত করি। এর আগে কখনো আমার সঙ্গে এমন ঘটেনি। আমি অনেক ভয় পেয়েছি। তবে আমি এখন নিরাপদে আছি। থানায় জিডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
সুদানের এল-ফাশের শহর ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চলছে। কৃত্রিম ভূ–উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন দাবি করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সসের (আরএসএফ) লড়াই চলছে। গত রোববার তারা এল-ফাশের দখল করে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অবরোধের পর পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটিটিও ছিনিয়ে নেয় তারা।
শহরটি পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।
এল-ফাশের থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী তাওইলা শহরে জীবিত বেঁচে ফেরা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে এএফপির সাংবাদিক কথা বলেছেন। সেখানে গণহত্যা হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, শহরটিতে মা-বাবার সামনেই শিশুদের গুলি করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর সময় সাধারণ মানুষকে মারধর করে তাঁদের মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে।
পাঁচ সন্তানের মা হায়াত শহর থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের একজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকা তরুণদের আসার পথেই আধা সামরিক বাহিনী থামিয়ে দেয়। আমরা জানি না, তাদের কী হয়েছে।’
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, গত শুক্রবার পাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ‘বড় ধরনের কোনো জমায়েত চোখে পড়েনি।’ এ কারণে মনে করা হচ্ছে, সেখানকার জনগণের বড় একটি অংশ হয় ‘মারা গেছে, বন্দী হয়েছে কিংবা লুকিয়ে আছে।’ সেখানে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আল-ফাশের থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। এখনো কয়েক হাজার মানুষ শহরটিতে আটকা পড়েছে। আরএসএফের সর্বশেষ হামলার আগে সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করত।
শনিবার বাহরাইনে এক সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেন, সুদান একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আরএসএফ নাগরিকদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।