চকলেটের লোভ দেখিয়ে ঘরে ঢুকে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, কিশোর গ্রেপ্তার
Published: 11th, April 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সাড়ে চার বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরকে (১৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার একটি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, শিশুটির মা একটি কারখানায় কাজ করেন। গত বুধবার সকালে তিনি নিজ কর্মস্থলে যান। কাজের প্রয়োজনে বাবাও ওই সময় ঘরের বাইরে যান। সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে দেখেন মেয়েশিশুটি কান্না করছে। একপর্যায়ে সে জানায়, অভিযুক্ত কিশোর চকলেট কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেছে তাকে। পরে রাতে রক্তক্ষরণ হওয়ায় শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক পরীক্ষার পর গতকাল রাতেই শিশুটিকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেহেদী হাসান।
জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেল) নাজমুস সাকিব বলেন, শিশুটিকে কয়েকজন সন্দেহভাজনের ছবি দেখানো হয়েছিল। পরে শিশুটি ওই কিশোরকে শনাক্ত করে। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তানোরে চুরি হওয়া ১১ লাখ টাকা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হয়ে যাওয়া প্রায় ১১ লাখ টাকা। এসব টাকা চুরির অভিযোগে আরজেদ আলী ওরফে কুরহান (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার জোড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কুরহানের বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে টাকার ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগেই কুরহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। টাকা উদ্ধারের পর বুধবার বিকেলে কুরহানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রাজশাহী নগরের শিরোইল মঠপুকুর এলাকার বাসিন্দা মাবিয়া খাতুন জমি বিক্রি করতে গত সোমবার তানোর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সঙ্গে ছিল জমি বিক্রির ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অফিসে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় মাবিয়া খাতুন তার টাকার ব্যাগটি চেয়ারের পাশে রাখেন। এ সুযোগে কৌশলে ব্যাগটি নিয়ে সটকে পড়ে কুরহান।
মোবাইল ফোনে কথোপকথন শেষে ব্যাগটি না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন মাবিয়া খাতুন। এতে পুরো অফিসজুড়ে হইচই পড়ে যায়। পরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি ব্যাগ নিয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছে। ঘটনার দিনই মাবিয়া খাতুন তানোর থানায় অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহার করে চোর শনাক্ত করে। মঙ্গলবার রাতেই কুরহানকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশকে কুরহান জানিয়েছেন, ব্যাগটি চুরি করে কাউকে কিছু না বলে তিনি বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে তা পুঁতে রাখেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টাকা খরচের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে, এত দ্রুত ধরা পড়বেন, সেটা ভাবেননি।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, কুরহান চুরির কথা স্বীকার করলে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির পেছনের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় ব্যাগভর্তি টাকা। আদালতের অনুমতি নিয়ে এই টাকা মালিক মাবিয়া খাতুনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/কেয়া/রফিক