মার্কিন ডলারের মান সর্বনিম্নে নেমেছে
Published: 12th, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের জেরে মার্কিন ডলারের মান সর্বনিম্নে নেমেছে। শুক্রবার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই মুদ্রার মান গত তিন বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ পতন হয়েছে।
বিশ্বে মার্কিন ডলারের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের সূচক (ডিএক্সওয়াই) ও মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার মার্কিন ডলারের মান তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মান সাধারণত ডলারের মানের ওপর নির্ভর করে।
মার্কিন ডলারের সূচকে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ডলারের মূল্য কমে ৯৯ দশমিক ০১-এ দাঁড়িয়েছে। যা এক বছরের মধ্যে ডলারের মানের প্রায় ৮ শতাংশ পতনের রেকর্ড।
ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ডলারের মানের বেশি পতন ঘটেছে। ওই দিন বিশ্বের কয়েক ডজন দেশের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন আমদানি শুল্ক আরোপ করেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপের পর বৈশ্বিক বাজার ব্যবস্থায় ব্যাপক টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়ার শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস শুরু হয়। যদিও পরবর্তীতে চীন ছাড়া বাকি সব দেশের ওপর আরোপিত এই শুল্ক আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।
বিদেশি মুদ্রার লেনদেন হয় আলাদা দুটি দেশের মুদ্রায়। উদাহরণস্বরূপ, অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার ক্রয়। যার ফলে এক দেশের মুদ্রার মান আরেক দেশের মুদ্রার মানের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। যা ‘এক্সচেঞ্জ রেট’ নামে পরিচিত।
বিশ্বের বেশিরভাগ মুদ্রার মানই ওঠানামা করে। যার অর্থ চাহিদা এবং সরবরাহ অনুযায়ী দাম পরিবর্তন হয়ে থাকে। কিছ মুদ্রার মান স্থির। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ডলার একটি নির্দিষ্ট দামে নির্ধারিত। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মার্কিন ডলারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ডলারের মান নির্দিষ্ট করা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি বাতিল করা হয়
এখন চাহিদা ও সরবরাহ অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মূল্য ওঠানামা করে। মুদ্রা শক্তিশালী হয় বিভিন্ন কারণে। যার মধ্যে অন্যতম হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, পণ্যের চাহিদা ইত্যাদি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
টমাহক কত দূরে আঘাত হানতে পারে, রাডারে কেন ধরা পড়ে না
ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে হোয়াইট হাউসকে সবুজ সংকেত দিয়েছে পেন্টাগন।
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দীর্ঘ পাল্লার ক্রুজ মিসাইল, যা যুদ্ধজাহাজ বা সাবমেরিন থেকে ছোড়া হয়।
নৌবাহিনীর ব্যবহৃত এ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপৃষ্ঠে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে। নিচু উচ্চতায় ওড়ে বলে এটি রাডারে ধরা পড়ে না। এতে আছে উন্নত জিপিএস ও নেভিগেশন ব্যবস্থা, ফলে ত্রুটির সীমা মাত্র ১০ মিটার।
টমাহক প্রথম ব্যবহার করা হয় ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধে। এরপর সিরিয়াসহ একাধিক অভিযানে এটি ব্যবহৃত হয়েছে।
এ ক্ষেপণাস্ত্র দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে আঘাত হানতে পারে। সম্প্রতি ইরানে হামলায় এ টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিটি টমাহকের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ ফুট, ওজন তিন হাজার পাউন্ডের বেশি এবং দাম প্রায় ২০ লাখ ডলার। এতে এক হাজার পাউন্ড ওজনের বিস্ফোরক বসানো থাকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রশংসা করে একে ‘চমৎকার অস্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুনইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিতে পেন্টাগনের সায়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন ট্রাম্প০১ নভেম্বর ২০২৫ইউক্রেন ও রাশিয়া সাধারণত আগেভাগে তাদের কৌশলগত পরিকল্পনা প্রকাশ্যে জানায় না। তবে ইউক্রেন টমাহক ব্যবহার করে রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামোকে সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে।
পেন্টাগন মনে করছে, ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হলেও তা যুক্তরাষ্ট্রের টমাহক মজুতের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে। বিষয়টি সম্পর্কে জানাশোনা আছে এমন তিন মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনপুতিন যুদ্ধ না থামালে ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেবেন ট্রাম্প১৩ অক্টোবর ২০২৫