প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সামাজিক সংগঠনÑজাবালে নূর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।

 শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর প্রেসক্লাবের সামনে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনটি এমন দাবি জানায়।

‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করো’Ñশিরোনামের ওই বিক্ষোভ সমাবেশ ও দোয়ায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কাজী মেফতাহ উদ্দিন জসিম। 

ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে পৃথিবীর সকল দেশকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ওআইসিকে যে উদ্দেশ্যে গঠন করা হয়েছিল তা কাজে আসছে না। ওআইসি ইহুদীদের দালালী করছে। ড.

ইউনূস সাহেব, সারা পৃথিবীর মুসলমানেরা আপনার দিকে তাকিয়ে আছে।

পৃথিবীর বড় বড় নেতারা আপনাকে সম্মান করে। আপনি নেতাদের আইডল। আপনি মুসলমানদের জন্য ওআইসির দায়িত্ব হাতে নেন। আপনি দায়িত্ব নিলে মুসলমান দেশগুলো উপকৃত হবে। পরে তিনি ফিলিস্তিনের মজলুম জনগণের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেনÑসংগঠনের সহ-সভাপতি মুফতি আব্দুর রশিদ, কাজী মহিউদ্দিন আলিফ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ প্রেস মালিক সমিতির সহসভাপতি জিয়াউর রহমান জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক আল আমিন, সমাজসেবক শহীদুল ইসলাম, রাবেয়া আক্তার, রুমা খানম, তানিয়া আক্তার, মীম , রাইসা, তাজ মোহাম্মদ, নাজমুল হোসেন প্রমুখ। 

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নগরীর চাষাড়া গোল চত্ত্বর ঘুরে আবারও প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে

সুদানের এল-ফাশের শহর ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চলছে। কৃত্রিম ভূ–উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন দাবি করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সসের (আরএসএফ) লড়াই চলছে। গত রোববার তারা এল-ফাশের দখল করে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অবরোধের পর পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটিটিও ছিনিয়ে নেয় তারা।

শহরটি পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।

এল-ফাশের থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী তাওইলা শহরে জীবিত বেঁচে ফেরা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে এএফপির সাংবাদিক কথা বলেছেন। সেখানে গণহত্যা হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, শহরটিতে মা-বাবার সামনেই শিশুদের গুলি করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর সময় সাধারণ মানুষকে মারধর করে তাঁদের মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে।

পাঁচ সন্তানের মা হায়াত শহর থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের একজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকা তরুণদের আসার পথেই আধা সামরিক বাহিনী থামিয়ে দেয়। আমরা জানি না, তাদের কী হয়েছে।’

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, গত শুক্রবার পাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ‘বড় ধরনের কোনো জমায়েত চোখে পড়েনি।’ এ কারণে মনে করা হচ্ছে, সেখানকার জনগণের বড় একটি অংশ হয় ‘মারা গেছে, বন্দী হয়েছে কিংবা লুকিয়ে আছে।’ সেখানে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আল-ফাশের থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। এখনো কয়েক হাজার মানুষ শহরটিতে আটকা পড়েছে। আরএসএফের সর্বশেষ হামলার আগে সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করত।

শনিবার বাহরাইনে এক সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেন, সুদান একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আরএসএফ নাগরিকদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহরুখ খান: গণহত্যার সময় বিলিয়নিয়ার হওয়ার অর্থ কী
  • সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস
  • সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন
  • জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
  • সুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন
  • সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
  • একাত্তরের গণহত্যার জন্য জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে: আলাল