রিয়ালের সর্বনাশে পৌষ মাসের খোঁজে ব্রাজিল
Published: 12th, April 2025 GMT
জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) প্রেসিডেন্ট এডনাল্ডো রদ্রিগুয়েজের প্রথম পছন্দ কার্লো আনচেলত্তি। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের ইতালিয়ান কোচ লিস্টে চারজনের মধ্যে ছিলেন চারে। কারণ জুলাইয়ের আগে তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম ছিল। ওদিকে জুনের আগেই কোচ নিয়োগ চূড়ান্ত করতে চায় সিবিএফ।
কিন্তু ডন কার্লোর অধীনে রিয়ালের দুর্দশা চলায় নতুন সম্ভাবনা দেখছে ব্রাজিল। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে লিগে ও আর্সেনালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হেরে রিয়ালের ‘সর্বনাশ’ হয়েছে। ওই সর্বনাশে পৌষ মাসের সন্ধান করছে ব্রাজিল। দেশটির ফুটবল বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম গ্লোবো এমনই দাবি করেছে। তারা আনচেলত্তির কোচ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে শিরোনাম করেছে, ‘রিয়ালের সংকটে আনচেলত্তি প্রশ্নে আলো দেখা।’
সংবাদ মাধ্যমের মতে, আর্সেনালের বিপক্ষে ১৬ এপ্রিল রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আনচেলত্তি কামব্যাক করতে না পারলে চাকরি যাবে তার। সেক্ষেত্রে ব্রাজিলের কোচ হতে বাধা থাকবে না ডন কার্লোর। এমনকি ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তাকে পেয়ে যাবে সিবিএফ।
সংবাদ মাধ্যম আরও দাবি করেছে, এই সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় সিবিএফ কাউকে মে মাসের আগে কোচ হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া রিয়ালে কার্লো আনচেলত্তির অবস্থা নড়বড়ে দেখে তার ছেলে ডেভিড আনচেলত্তির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সিবিএফ। ব্রাজিল বোর্ড কার্লোর জন্য ২৬ এপ্রিল কোপা দেল রে’র ফাইনাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বলেও দাবি করেছে গ্লোবো।
এর আগে গ্লোবো জানিয়েছে, ব্রাজিলের পরবর্তী কোচ হিসেবে চার জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে কনফেডারেশন। সেখানে আল হিলালের কোচ হোর্হে জেসুসের সেলেসাও কোচ হওয়ার ভালো সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ফেনেরবেচের পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনহো ও পালমেইরাসের পর্তুগিজ কোচ আবেল পেরেইরা আছেন আলোচনায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল স ব এফ
এছাড়াও পড়ুন:
রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল, বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে সোয়াপ করে টাকা তোলা যাবে
রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল। এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা নিজেদের বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাব থেকে সোয়াপের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে ৩০ দিনের পুলে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা এবং রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা-টাকা সোয়াপ চুক্তি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সোয়াপ কীসার্কুলার অনুসারে, আলোচ্য সোয়াপ চুক্তি বলতে একটি নির্দিষ্ট হারে ও মেয়াদে টাকার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রার স্পট ক্রয় এবং একই সঙ্গে একটি নির্ধারিত তারিখে পুনঃবিক্রয়ের ব্যবস্থাকে বোঝাবে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকের নিজস্ব উৎসের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহৃত হবে। সোয়াপের মেয়াদ ইআরকিউ তহবিলের ব্যবহারযোগ্য মেয়াদের বেশি হতে পারবে না এবং ৩০ দিনের পুল তহবিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিন মেয়াদি সোয়াপ করা যাবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, সোয়াপের হার নির্ধারণে বাজারভিত্তিক বা খরচভিত্তিক সুদ বা মুনাফার পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া যাবে। আলোচ্য সোয়াপ লেনদেনকে ঋণ বা অর্থায়ন সুবিধা হিসেবে গণ্য করা হবে না। সোয়াপের মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকা শুধু রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চলতি মূলধনের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা যাবে। কোনো ফটকা উদ্দেশ্যে ওই অর্থ ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শিল্প খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগের কারণে রপ্তানিকারকদের স্বল্পমেয়াদি তারল্য চাপ কমাতে সহায়তা করবে। এতে প্রচলিত রপ্তানি ঋণের ওপর নির্ভর না করেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালাতে পারবেন। পাশাপাশি এটি বাজারভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনাকেও উৎসাহিত করবে।