মাহে রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ২৩ দিনের ছুটি কাটিয়ে চিরচেনা রূপে ফিরেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)।
ছুটি শেষে শুরু হয়েছে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। এতে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উছেছে ক্যাম্পাস।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ক্যাম্পাস ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
আরো পড়ুন:
ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক কুবি শিক্ষার্থীদের
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: কুবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
সরেজমিনে দেখা গেছে, চিরচেনা আগের মতই শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যাচ্ছেন, একসঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। কেউবা আবার বাসের জন্য ছুটছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ সময় বাড়িতে থাকার পর ক্যাম্পাসে আসতে মন চাচ্ছিলো না। কিন্তু ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হওয়ায় চলে আসতে হলো। তবে ক্যাম্পাসে ফিরে এখন বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে দেখা হয়ে ভালো লাগছে। আবারো এক সঙ্গে আড্ডা দিতে পারব সবার সঙ্গে।
আইন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান রায়হান বলেন, “দীর্ঘ ঈদের বন্ধ শেষে বাড়ি ছেড়ে আবারো ক্যাম্পাসে ফিরতে হয়েছে। পরিবারের প্রিয় মানুষগুলো ছাড়া আলাদা একটা জায়গায় থাকাটা সবসময়ই অস্বস্তির। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বন্ধু-বান্ধব, প্রিয় বিভাগ, শিক্ষক, ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য্য- সবকিছু মিলিয়ে আরো একটা পরিবার হয়ে উঠেছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো.
গত ২২ মার্চ থেকে মাহে রমাদান ও ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হয়েছিল।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি