বগুড়ায় দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেল হেফাজতে নিতে গেলে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মব তৈরি করে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায় ওই গ্যাং।

আহতরা হলেন- বগুড়া সদর থানার ফুলবাড়ি ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আহম্মদ আলী। বর্তমানে তারা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ জানায়, রাতে কালিতলা এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশ সদস্যরা। সেখানে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত এক অজ্ঞাত পরিচয়ের নারী ও পুরুষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান তারা। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি হেফাজতে নিতে গেলে আহতদের বন্ধুরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে কয়েকজন কিশোর মব তৈরি করে পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর কিল-ঘুষি ও লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। পরে তারা মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈন উদ্দিন বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহতদের বন্ধুরা মোটরসাইকেল পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিতে হামলা চালিয়েছে।’

ওসি জানান, হামলায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা আশঙ্কামুক্ত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আহত মব ত র কর মকর ত দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫