সান সিরোতে ইন্টারের বায়ার্ন পরীক্ষা
Published: 16th, April 2025 GMT
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইন্টার মিলান ম্যাচের ৮৮ মিনিটে গোল করে বায়ার্ন মিউনিখতে হারাবে তা হয়তো কেউ কল্পনাও করেনি। গত সপ্তাহে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে স্বাগতিক দর্শকদের হতাশায় ডোবায় সিমিওন ইনজাগির দল। এই ম্যাচের আগে ঘরের মাঠে ২২ ম্যাচে অপরাজিত ছিল বাভারিয়ানরা। ইন্টার ২-১ গোলে বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে জিতে সেই রেকর্ড ভাঙে।
সপ্তাহ পেরিয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সান সিরোতে দিতে হবে অগ্নি পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় নামার আগে ইন্টারের ঘরের মাঠে জয়ের ঘোষণা দিয়েছে বায়ার্ন। জার্মানির সেরাা ক্লাবটি আজ দ্বিতীয় লেগে জিততে পারলে টানা ১৪ ম্যাচ পর হারের তিক্ত স্বাদ পাবে ইন্টার। অন্যদিকে ই নেরাজ্জুরিরা যদি জয়ের স্বাদ পায় তাহলে তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার সেমি-ফাইনাল খেলার সুযোগ পাবে ইতালির ক্লাবটি। ইন্টার সেমিতে গেলে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে বার্সেলোনাকে। যাদের বিপক্ষে ২০১০ সালে সেমিফাইনাল জয়ের পর শিরোপাও জিতে ই নেরাজ্জুরিরা, তাতে পূর্ণ হয় ট্রেবল।
ইতিহাস আজ ইন্টারকেই এগিয়ে রাখছে। এর আগে এই প্রতিযোগিতায় ২৩ বার প্রথম লেগ জিতার পর কেবল ২ বার দ্বিতীয় লেগে জয়বঞ্চিত ছিল ক্লাবটি। বায়ার্নের রেকর্ডও খারাপ না। ইতালির মাঠে চারবার খেলে সবকটিতে তারা জিতেছে। আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর রেকর্ড হচ্ছে, সেই চার ম্যাচে তারা এক গোলও হজম করেনি। এবারও রেকর্ড ধরে রাখতে আত্মবিশ্বাসী বায়ার্ন।
আরো পড়ুন:
‘ডার ক্লাসিকেরে’ বায়ার্নকে রুখে দিয়েছে ডর্টমুন্ড
কেইনের মাইলফলক ছোঁয়ার রাতে পাত্তা পেল না লেভারকুজেন
বাভারিয়ান কোচ কোম্পানি বলেছেন, ‘‘দিন শেষে আমাদের জিততেই হবে। সবসময় ম্যাচ জিততে হবে। প্রথম লেগের ফল যাই হোক না কেন। আশা করছি, আজ একটি বিশেষ রাতের অভিজ্ঞতা হবে আমাদের।” দলের একাধিক খেলোয়াড় না থাকায় কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছেন কোম্পানি। ন্যুয়ের, মুসিয়ালা, দেভিসকে ছাড়াই নামতে হবে জার্মান জায়ান্টদের।
উল্টোদিকে প্রায় পূর্ণ শক্তির দল পাবেন ইন্টারের কোচ ইনজাগি। তাই হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ দেখার আশায় ফুটবলপ্রেমীরা। দুই দলের এখন পর্যন্ত কোনো লড়াই অমীমাংসিত থাকেনি। পাঁচবারের দেখায় বায়ার্ন তিনবার, ইন্টার দুইবার জিতেছে। এবার কার মুখে হাসি ফোটে, চ্যাম্পিয়নস লিগের শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কারের জন্য কে এগিয়ে যায় সেটাই দেখার।
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ য ম প য়নস ল গ ইন ট র ম ল ন ইন ট র র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
গণভোট নিয়ে মতভেদে উপদেষ্টা পরিষদের উদ্বেগ
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুতত সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। যদিও এর আগেই এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথায় জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
প্রেস উইং জানায়, জাতীয় ঐক্যমত কমিশন থেকে প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে ঐক্যমত কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরী ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।
এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে ( সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বলেও উল্লেখ করা হয়। পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যেকোনো সুযোগ নাই সেটাও সবার বিবেচনায় রাখার জন্য বলা হয়।
সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা না পেলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে এই বিষয়েও আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা করছি। ওনারা যদি আলাপ-আলোচনা করেন, আমাদের জন্য কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়। ওনারা যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।”
ঢাকা/ইভা