নো ব্রিক ফিল্ড জোন: উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ালে কড়া ব্যবস্থা
Published: 16th, April 2025 GMT
উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ালে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, মাতুয়াইল, আমিনবাজারসহ যে কোনো এলাকায় কেউ বর্জ্য পোড়ালে তাকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে সরকারি হোক বা বেসরকারি।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় তিনি আরো বলেন, বায়ুদূষণ রোধে নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখতে হবে, ঢেকে পরিবহন করতে হবে, তা না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ কাজ বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজউক, সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ম্যাজিস্ট্রেটরা একসাথে কাজ করবেন।
তিনি জানান, সেবাদানকারী সংস্থাগুলো যেন এলোমেলোভাবে রাস্তা না খোঁড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে। বাস্তবায়ন করা হবে ‘নো ব্রিক ফিল্ড জোন’। শহরের রাস্তা ও আশপাশে পানি ছিটাতে হবে ধুলাবালির পরিমাণ কমাতে। নিয়ম না মানলে অঞ্চলভিত্তিক বিশেষ অভিযান চালানো হবে।
তিনি বলেন, শহরকে সবুজ করতে হবে, রাস্তার ডিভাইডারে ঘাস লাগাতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বায়ুদূষণ কমাতে জনগণকে সম্পৃক্ত করেই কাজ করতে হবে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।