রাজধানীতে নকশাবহির্ভূত ও অনুমোদনবিহীন ভবন নির্মাণ রোধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। এ-সংক্রান্ত একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, জরিমানা এবং পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মতো পদক্ষেপও নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর আওতাধীন এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনগুলোর নকশা ব্যত্যয় ও অনুমোদনবিহীন নির্মাণ রোধে সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.

নজরুল ইসলাম।

সভায় জানানো হয়, ভবন নির্মাণে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের প্রথমে সতর্ক করা হবে। তবু কাজ চালিয়ে গেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে নির্মাণাধীন ভবনের গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হবে।

সভায় আরো বলা হয়, পরিকল্পিত নগরায়ন নিশ্চিত করতে জমির সঠিক ব্যবহার এবং অনুমোদিত নকশা অনুসারে ভবন নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি। এজন্য রাজউক এলাকার জমি ও প্লট মালিকদের নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণের আহ্বান জানানো হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিনিধিগণ, বাংলাদেশ পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ডিপিডিসি, ঢাকা ওয়াসা, ডেসকো এবং তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসির শীর্ষ কর্মকর্তারা।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভবন ন র ম ণ

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।

আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগে

এ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।

আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ