শিহাব শাহীনের ‘দাগি’ অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি পেয়েছে ১২ এপ্রিল। মুক্তির পর থেকেই সিডনির প্রতিটি শো হাউসফুল। সরেজমিন দেখা গেছে, ‘দাগি’র আবেগঘন মুহূর্তগুলো মন ছুঁয়ে গেছে প্রবাসী বাংলাদেশি দর্শকদের। এমনটাই দেখা গেছে, সিনেমা শেষে চোখের পানি গড়িয়ে পড়েছে দর্শকের।
দর্শকের মতে, আবেগ আর পারিবারিক বন্ধনে ভরপুর ছবিটির বড় শক্তি শিল্পীদের অভিনয় এবং চিত্রনাট্য, দারুণ সব সংলাপ। মনে হয়েছে চরিত্রগুলো খুব চেনা, কাছের কেউ। যে কারণে চরিত্রের আবেগে মনের অজান্তেই চোখে পানি চলে আসে।

সিডনির একটি শোতে উপস্থিত দর্শক রুবাইয়া আহমেদের সঙ্গে কথা হলো। তাঁর ভাষ্যে, ‘নিশোর অভিনয় সত্যিই অভিভূত করার মতো। বিশেষ করে মায়ের সঙ্গে তাঁর দৃশ্যগুলো দেখে আমার পাশে বসা অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।’ আরেক দর্শক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গল্পের টানটান সাসপেন্স আমাকে শেষ পর্যন্ত বেঁধে রেখেছিল। ক্লাইমেক্স সিকোয়েন্সে কী হবে তা নিয়ে আমরা সবাই উত্তেজনায় ছিলাম।’

আফরান নিশো.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিরল রোগে আক্রান্ত মাহির শাহরিয়ার বাঁচাতে চায়

 ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রফি (DMD) নামক এক বিরল জেনেটিক রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন সংকটে ভুগছে শিশু মাহির শাহরিয়ার। এই রোগে আক্রান্তদের পেশী ক্রমাগত দুর্বল হতে থাকে এবং সময়ের সাথে সাথে তা আরও খারাপের দিকে যায়।

ডিএমডি এমন একটি রোগ যার বর্তমানে কোনো নিরাময় নেই, তবে সঠিক চিকিৎসা ও যত্নের মাধ্যমে রোগীর জীবনকাল ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করা সম্ভব। কিন্তু এই চিকিৎসার খরচ যোগান দেওয়া মাহিরের দিনমজুর বাবার পক্ষে প্রায় অসম্ভব।

ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রফি (DMD) একটি বংশগত পেশীসংক্রান্ত রোগ যা মূলত ছেলেদেরকে আক্রান্ত করে। ডিস্ট্রোফিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনের অভাবে এই রোগ হয়, যার ফলে পেশী দুর্বল ও ক্ষয় হতে থাকে। এই রোগে আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত কৈশোরের আগেই চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদপিণ্ডের জটিলতা তৈরি হয়।

মাহিরের বাবা মোঃ এনামুল হক এবং মা মোছাঃ মিতা খাতুন তাদের সন্তানের জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। তাদের স্থায়ী ঠিকানা পাবনার আটঘরিয়া হলেও বর্তমানে তারা  নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, ইসদাইর বাজার-এ ভাড়া বাসায় অবস্থান করছেন।

​মাহিরের চিকিৎসা এবং তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও দীর্ঘমেয়াদি যত্নের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সামর্থ্য না থাকা সত্ত্বেও সন্তানের জীবন বাঁচাতে এই অসহায় বাবা-মা নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

আসুন, এই বিরল রোগে আক্রান্ত মাহির শাহরিয়ারকে বাঁচাতে আমরা সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই। আপনার সামান্য অনুদানও তার চিকিৎসার জন্য অপরিহার্য এবং তার জীবনের সময়কাল বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। মহান আল্লাহ আমাদের এই মানবিক প্রচেষ্টাকে কবুল করুন।

মাহিরের পরিবারকে সাহায্য করতে বা তার অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে নিচের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন: ​মোবাইল নম্বর: ০১৭৩২০৬১৪৮৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ