রাজশাহী পুলিশ লাইন্সের একটি ব্যারাকের শৌচাগার থেকে মাসুদ রানা (৩৪) নামের এক কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মাসুদ রানা রাজশাহীর বাগমারা থানার যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার পাঁচশিশা গ্রামে। ২০১১ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন তিনি।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি মাসুদ রানা চিকিৎসার জন্য বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে আসেন এবং জেলা পুলিশ লাইন্সের একটি ব্যারাকে অবস্থান করছিলেন। রবিবার সকালে ব্যারাক সংলগ্ন শৌচাগারে তার মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশের অন্য সদস্যরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান।

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে ভাড়া বাসায় মিলল শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ

১৪ ঘণ্টা পর ভেসে উঠল সেই শিশুর লাশ

বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘মাসুদের পারিবারিক টানাপড়েন ছিল। স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল রাজশাহী মহানগর পুলিশের রাজপাড়া থানার আওতায় পড়ায় তদন্ত করছে ওই থানা পুলিশ।’’

রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘শৌচাগারের এডজাস্ট ফ্যানের গ্রিলের সঙ্গে নিজের পরনের প্যান্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দেন মাসুদ। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো এক সময় তিনি আত্মহত্যা করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’

ঢাকা/কেয়া/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে একাডেমি না করলে অর্থ দেবে না ফিফা

ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স স্থাপনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালংয়ে এ সেন্টার তৈরি হওয়ার কথা ছিল। তবে বন কেটে এ ধরনের স্থাপনা তৈরির বিরোধিতা করেন পরিবেশবাদীরা। এ কারণে রামুতে এ একাডেমি হচ্ছে না। তাই কক্সবাজারের অন্য জায়গায় জমি খুঁজছে বাফুফে। যেভাবে কাজ এগোচ্ছে, তাতে ফিফার অর্থ বরাদ্দ বন্ধের আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। 

গতকাল ‘মিট দ্য প্রেসে’ এ বিষয়ে কথা বলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, ‘আমরা অনেক দিন ধরে ফিফা টেকনিক্যাল সেন্টার ডেভেলপমেন্টের জন্য বসে ছিলাম। জমিজমা ইত্যাদির জন্য আমরা পিছিয়ে ছিলাম। সেটার জন্যও ফিফা থেকে আমাদের ওপর চাপ আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কাজটা শুরু না করি, তাহলে সেই ফান্ডটা কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার জায়গা আছে। তবে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি ফান্ডটা হারাব না। আমরা কাজটি অচিরেই শুরু করতে পারব।’

ফিফা নিজ তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশে একাডেমি করে দিচ্ছে। বাফুফেও দেশে এমন একাডেমি করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান তাবিথ, ‘ফিফাতে ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্টের অধীনে ফিফা ৭৫টি একাডেমি করতে যাচ্ছে। সেখানে একেকটি সদস্যের আবেদন করতে হয়। আবেদন করলে টিবিএস কমিটি যদি অনুমোদন করে, তাহলে আর্সেন ওয়েঙ্গারের ফাইনাল সিদ্ধান্তে একাডেমিগুলো ডেভেলপমেন্ট করা হয়। সর্বশেষ কংগ্রেসে আমি সরাসরি আর্সেন ওয়েঙ্গারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কমিটমেন্ট চেয়েছেন, আমিও কথা দিয়ে এসেছি। এই বছরের মধ্যে আমরা ফিফার সঙ্গে চুক্তি করে আসব, যেন বাংলাদেশে ফিফা সার্টিফাইড একাডেমি তৈরি করা হয়। এরই মধ্যে ফিফার কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। তারাও কিছু বিষয় তুলে ধরে চিঠি দিয়েছে আমাদের। তাদের এই বিষয়গুলো যদি আমরা মনে করি পূরণ করতে পারব, তাহলে সামনে যে কোনো সময় চুক্তি করব। আমার উদ্দেশ্যে হলো সেপ্টেম্বরের দিকে চুক্তি করা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ