রাজশাহী পুলিশ লাইন্স থেকে কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
Published: 20th, April 2025 GMT
রাজশাহী পুলিশ লাইন্সের একটি ব্যারাকের শৌচাগার থেকে মাসুদ রানা (৩৪) নামের এক কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মাসুদ রানা রাজশাহীর বাগমারা থানার যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার পাঁচশিশা গ্রামে। ২০১১ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন তিনি।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি মাসুদ রানা চিকিৎসার জন্য বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে আসেন এবং জেলা পুলিশ লাইন্সের একটি ব্যারাকে অবস্থান করছিলেন। রবিবার সকালে ব্যারাক সংলগ্ন শৌচাগারে তার মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশের অন্য সদস্যরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে ভাড়া বাসায় মিলল শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ
১৪ ঘণ্টা পর ভেসে উঠল সেই শিশুর লাশ
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘মাসুদের পারিবারিক টানাপড়েন ছিল। স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল রাজশাহী মহানগর পুলিশের রাজপাড়া থানার আওতায় পড়ায় তদন্ত করছে ওই থানা পুলিশ।’’
রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘শৌচাগারের এডজাস্ট ফ্যানের গ্রিলের সঙ্গে নিজের পরনের প্যান্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দেন মাসুদ। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো এক সময় তিনি আত্মহত্যা করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’
ঢাকা/কেয়া/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়