যাত্রাবাড়ী ও শাহবাগে যুবলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫
Published: 20th, April 2025 GMT
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও শাহবাগ এলাকায় ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার তাঁদের আটক করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি মো.
যাত্রাবাড়ী থানা সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল পৌনে সাতটার দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মৃধাবাড়ি এলাকায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ১৬ থেকে ১৭ জন সদস্য একটি ঝটিকা মিছিল বের করেন। এ সময় পুলিশের টহল দল তাঁদের ধাওয়া করে। সেখান থেকে মো. হারুনুর রশিদ ও মো. জাহিদুর ইসলামকে আটক করা হয়। অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যান।
অন্যদিকে শাহবাগ থানা সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোর ছয়টার দিকে শাহবাগ মোড়ে যুবলীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ২০ থেকে ৩০ জন কর্মী ঝটিকা মিছিল করার চেষ্টা করেন। থানার টহল দল তাৎক্ষণিকভাবে ধাওয়া দিলে তাঁরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে যুবলীগ কর্মী মো. করিম ও ছাত্রলীগ কর্মী মো. জনিকে আটক করা হয়।
পুলিশ বলছে, আটক ব্যক্তিরা আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। তাঁরা নানাভাবে সংঘবব্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।