বর্ণাঢ্য আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বার্ষিক ক্রীড়া ও আন্তঃবিভাগ অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা ২০২৫ শুরু হয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।

তিনি বলেন, “এ প্রতিযোগিতায় সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। যে খেলাধুলা পারে না, তাকেও আনন্দ নিয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে। সবার অংশগ্রহণের ফলে পারস্পারিক বন্ধন তৈরি হবে, পরিচিতি বাড়বে। এর মাধ্যমে আমরা একটি সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে পারব।”

আরো পড়ুন:

শেষ হলো ব্র্যাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিতর্ক উৎসব

ইনানীতে সেনাপ্রধান
প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়া আয়োজন সুস্থ জাতি গঠনে সহায়তা করবে

শরীর চর্চা শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক ড.

মো. রাফিউল হাসানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন।

এ সময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নাসিম রেজা, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস শরীর চর্চা শিক্ষা দপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল ওয়াহেদ, ফিজিক্যাল ইন্সট্র্যাক্টর মো. শাহিনূর রহমান, মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

বিশেষজ্ঞ বিচারকদের পক্ষে শপথপাঠ করেন ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর উজ্জ্বল চন্দ্র সূত্রধর এবং খেলোয়াড়দের পক্ষে শপথ পাঠ করেন উম্মে হাফসা রুমকি। মশাল প্রজ্জ্বলন ও মাঠ প্রদক্ষিণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাবিরুল ইসলাম ও রুপা খাতুন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারজানা নাসরিন ও ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর মো. রায়হান রাকিব। 

আগামী ২৩ এপ্রিল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ প্রতিযোগিতা শেষ হবে।

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘মোটরসাইকেল আমার ছেলেটার জীবন নিল’

কয়েক মাস আগে একটি কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানে হোম ডেলিভারির কাজ নেন তরুণ প্রিয়ন্ত দাস (২২)। প্রতিষ্ঠানের শর্ত ছিল, এ কাজের জন্য তাঁর একটি মোটরসাইকেল লাগবে। ওই সময় ছেলেকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন বাবা। সেই মোটরসাইকেলে করে এক সহকর্মীর বাড়িতে বেড়ানো শেষে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।

গতকাল বুধবার রাতে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জুড়ী-বটুলি শুল্ক স্টেশন সড়কের দক্ষিণ সাগরনাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রিয়ন্ত দাস পাশের বড়লেখা উপজেলার পানিসাওয়া গ্রামের প্রদীপ দাসের ছেলে। সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা সদরে একটি কুরিয়ার সার্ভিসে কাজ করতেন তিনি

পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার প্রিয়ন্তের ছুটি ছিল। এ সুযোগে বন্ধু শোভন দাসকে নিয়ে নিজের মোটরসাইকেলে জুড়ীর ফুলতলা চা-বাগানে এক সহকর্মীর বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় রাত আটটার দিকে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে দুই আরোহী আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে প্রিয়ন্ত মারা যান। অবস্থার অবনতি ঘটায় শোভনকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রিয়ন্তর বাবা প্রদীপ দাস কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছেলেটা (প্রিয়ন্ত) কলেজে লেখাপড়া করত। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার আগে পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়ে চাকরি খুঁজছিল। আড়াই-তিন মাস আগে বলল, একটা চাকরি মিলেছে, মোটরসাইকেল লাগব। কিনি দিলাম। এই মোটরসাইকেল আমার ছেলেটার জীবন নিল।’

জুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উস্তার মিয়া বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই প্রিয়ন্তের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ