বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই এ–ও লেভেল পরীক্ষার ফি বিদেশে পাঠানো যাবে। এ ছাড়া এই তালিকায় আছে টোয়েফল, এসএটি ইত্যাদি এবং স্বীকৃত বিদেশি একাডেমিক সংস্থা ও কর্তৃপক্ষের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সমমানের বিদেশি শিক্ষা কার্যক্রম। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে না।

গতকাল সোমবার এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতিমধ্যে সব ব্যাংককে এ আদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিদেশি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যথাযথভাবে অনুমোদিত হতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুসারে, ব্যাংকগুলো ইনভয়েসের ভিত্তিতে এবং বিস্তারিত তথ্যসংবলিত বিবরণীর ভিত্তিতে বিদেশে অর্থ প্রেরণ করতে পারবে। রেমিট্যান্স কার্যকর করার আগে ব্যাংকগুলোকে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর কাছ থেকে ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা নিতে হবে।

এর আগে ব্যাংকগুলোকে এ ধরনের রেমিট্যান্সের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হতো। নতুন প্রজ্ঞাপনের ফলে এখন থেকে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সমমানের (যেমন ও, এ বা এএস লেভেল) পরীক্ষার জন্য রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই। এ ছাড়া টোয়েফল, এসএটি ইত্যাদির পরীক্ষার ফি-ও এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই বিদেশে প্রেরণযোগ্য হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা রেমিট্যান্স লেনদেনকে আরও সহজ ও নির্বিঘ্ন করবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র ক র অন ম অন ম দ

এছাড়াও পড়ুন:

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’

সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’

অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি‌ বরাবর অভিযোগ করেন।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ