ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পিনাক রঞ্জন সরকারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর হাতিরপুলের একটি বাসা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পিনাক রঞ্জনের ফেসবুক মেসেঞ্জারের নোটসে ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ লেখা দেখা গেছে। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পৃথীশ রঞ্জন সরকারের ছেলে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়।

কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক মো.

ইকবাল হোসেন বলেন, গতকাল রাত পৌনে আটটার দিকে খবর পেয়ে হাতিরপুলের একটি ভবনের নবম তলার বাসা যায় পুলিশের একটি দল। দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে গামছা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পিনাক রঞ্জনের মরদেহ দেখতে পান তাঁরা। সেখান থেকে উদ্ধারের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সঠিক কারণ বলা যাবে।

পিনাক রঞ্জনের সঙ্গে একই কক্ষে থাকতেন জাহিদ হাসান। তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরে দেখি, রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। কোনো সাড়াশব্দ নেই। পরে ৯৯৯–এ ফোন করে কলাবাগান থানা–পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।’

জাহিদ হাসান বলেন, ‘কেন সে আত্মহত্যা করেছে, বলতে পারছি না। অবশ্য পিনাক রঞ্জন মাসখানেক আগে থেকেই একটু হতাশায় ভুগছিল। চুপচাপ থাকত, কিছুই বলত না।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’

আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।

পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’

শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ