Prothomalo:
2025-11-03@09:14:32 GMT

নতুন প্রতিভার খোঁজে

Published: 25th, April 2025 GMT


রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দীপ্ত টিভির কার্যালয়ে পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুপুর গড়াল। প্রবেশদ্বার থেকে অনুষ্ঠান–সংশ্লিষ্ট একজন নিয়ে গেলেন স্টুডিওতে। চলছে দৃশ্যধারণ। বিচারকের আসনে তখন ছিলেন প্রতিযোগিতার তিন বিচারক অভিনয়শিল্পী, নির্দেশক তারিক আনাম খান, পরিচালক শিহাব শাহীন ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। অতিথি বিচারক নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। একটি পরিবেশনা শেষ হলে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছিলেন তাঁরা। এরই মাঝেই শুরু হয় মধ্যাহ্নভোজের বিরতি; সুযোগ মেলে বিচারকদের সঙ্গে কথা বলার।

কয়েক বছর ধরে ঢাকার রিয়েলিটি শো কিছুটা জৌলুশ হারিয়েছে। দীপ্তর এ আয়োজন আশার আলো দেখাচ্ছে বলে মনে করছেন বিচারকেরা। বর্তমান সময়ের অন্যতম ব্যস্ত নির্মাতা শিহাব শাহীন। চলতি ঈদে মুক্তি পেয়েছে তাঁর পরিচালনায় সিনেমা ‘দাগি’ ও ওয়েব সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’। ‘দীপ্ত স্টার হান্ট’–এর সেরা ৪০ প্রতিযোগীকে নিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর বিচারকার্য। এখন তা সেরা দশে পৌঁছেছে। এ তিন মাসের জার্নিকে তিনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এমন প্রতিযোগিতার আরও প্রয়োজন। তাহলে ইন্ডাস্ট্রি যেমন নবাগত অভিনেতাদের পাবে, তাদের দেখে আরও অনেকে উৎসাহ বোধ করবেন। শিহাব শাহীন বলেন, ‘প্রথম দিকে কিছুটা হতাশ ছিলাম, কেমন হচ্ছে, কাদের আনল, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওরা যেভাবে নিজেদের মধ্যে পরিবর্তনটা এনেছে, যেভাবে এরা খোলস ছেড়ে বেরিয়েছে, এর জন্য দীপ্ত টিভির প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত সবাই ধন্যবাদ পাবেন। ওদের যেভাবে গ্রুমিং করানো হয়েছে, তা প্রশংসার জায়গা রাখে। এখন তারা অনেক পরিণত, তাদের ভেতর ভালো করার ক্ষুধা দেখতে পাচ্ছি। ওদের মাঝে সম্ভাবনা দেখছি।’
এ ধরনের আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে শিহাব শাহীন বলেন, ‘এটা খুবই দরকার। এটা কোনোভাবে বন্ধ হওয়া উচিত না। নতুন কুঁড়ি কেন বন্ধ হলো? এটা উচিত না। আমি জানি না দেশের টেলিভিশন স্টেশন কারা চালান, তাঁদের মাথায় কী চলে। আমাদের পাশের দেশেই রিয়েলিটি শোর টিআরপি অনেক বেশি। এটা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি যেমন সমৃদ্ধ হচ্ছে, বাণিজ্যও হচ্ছে।’

প্রতিযোগিতার তিন বিচারক তারিক আনাম খান, শিহাব শাহীন ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে অতিথি বিচারক চয়নিকা চৌধুরী।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল, বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে সোয়াপ করে টাকা তোলা যাবে

রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল। এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা নিজেদের বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাব থেকে সোয়াপের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।

আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে ৩০ দিনের পুলে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা এবং রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা-টাকা সোয়াপ চুক্তি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সোয়াপ কী

সার্কুলার অনুসারে, আলোচ্য সোয়াপ চুক্তি বলতে একটি নির্দিষ্ট হারে ও মেয়াদে টাকার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রার স্পট ক্রয় এবং একই সঙ্গে একটি নির্ধারিত তারিখে পুনঃবিক্রয়ের ব্যবস্থাকে বোঝাবে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকের নিজস্ব উৎসের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহৃত হবে। সোয়াপের মেয়াদ ইআরকিউ তহবিলের ব্যবহারযোগ্য মেয়াদের বেশি হতে পারবে না এবং ৩০ দিনের পুল তহবিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিন মেয়াদি সোয়াপ করা যাবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, সোয়াপের হার নির্ধারণে বাজারভিত্তিক বা খরচভিত্তিক সুদ বা মুনাফার পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া যাবে। আলোচ্য সোয়াপ লেনদেনকে ঋণ বা অর্থায়ন সুবিধা হিসেবে গণ্য করা হবে না। সোয়াপের মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকা শুধু রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চলতি মূলধনের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা যাবে। কোনো ফটকা উদ্দেশ্যে ওই অর্থ ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শিল্প খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগের কারণে রপ্তানিকারকদের স্বল্পমেয়াদি তারল্য চাপ কমাতে সহায়তা করবে। এতে প্রচলিত রপ্তানি ঋণের ওপর নির্ভর না করেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালাতে পারবেন। পাশাপাশি এটি বাজারভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনাকেও উৎসাহিত করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ