যে যাই বলুক ভাই মাথা ঠান্ডা রাখা চাই
Published: 26th, April 2025 GMT
নিয়ম মেনে চলে না মন। চাইলেই আবার ঠান্ডা রাখা যায় না মাথা! চাইলে আপনি অনেক কিছুর লাগাম ধরতে পারলেও কেন এ দুটোর লাগাম টানা যায় না! তবু যারা সচেতন, যারা নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করতে চায়, আর আলাদা দেখতে চায়, নিজেকে নিয়ে যারা প্রতিনিয়ত ভেবে যায়– তারা কিন্তু পুরোপুরি না পারলেও মন আর মাথার সঙ্গে আপস করতে পারে। মনটাকে কাজ দিয়ে বসিয়ে রাখতে পারে। আবার সময় মতো মনকে অনেকটা আয়ত্তেও নিয়ে আসতে পারে। তারা আরও পারে মাথা ঠান্ডা রেখে সময়ের কাজ সময়ে করে যেতে। অযথা দুশ্চিন্তা তাদের কাবু করতে পারে না।
ঠান্ডা মাথায় প্রস্তুতি
পরীক্ষার সময় আপনার বড় পরীক্ষা হচ্ছে মাথা ঠান্ডা রেখে প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়া। প্রস্তুতি বলতে রিভিশন আর কী! মাথা ঠান্ডা রেখে প্রস্তুতিটা নিলেই হয়। অন্য কিছু নিয়ে তেমন ভাবতে হয় না। পরীক্ষার আগের রাতে অনেকের ঘুম হয় না। চিন্তাতে রাত কেটে যায়। ফলে পরদিন হলে গিয়ে তারা কিছুই মনে করতে পারে না। এমন চিন্তা কখনোই করবেন না আপনারা। পারলে পরীক্ষার আগের রাতে একটু আগেই ঘুমিয়ে পড়ূন। পরদিন একটু আগে উঠে বই নিয়ে বসুন।
দিনে ছয় ঘণ্টা ঘুম
অনেকের আবার রাত জাগার অভ্যেস। তাদেরও বলি, অন্য সময় জাগলেও এ সময় রাত জাগার দরকার নেই। কারণ, এখন আপনার দরকার মাথা ঠান্ডা রাখা। এ জন্য আপনার দরকার ঘুম। জানেনই তো,
একজন সুস্থ মানুষের জন্য দৈনিক কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা ঘুমানো আবশ্যক! ধরুন, আজ আপনার একটা পরীক্ষা শেষ। দু’দিন পর আরেকটা। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে আপনার একটা ভুল হয়ে গেল উত্তরপত্রে, এ নিয়ে বাড়ি-ঘর মাথায় তোলার দরকার নেই। আপনি বরং এসব চিন্তা ঝেড়ে সামনের পরীক্ষায় যেন এই ভুল না হয়,
সেটি ভাবুন।
আগের রাতে গুছিয়ে রাখুন
পরীক্ষার আগের রাতে দরকারি কাগজপত্র গুছিয়ে রাখবেন। কলম, পেনসিল, ক্যালকুলেটরসহ দরকারি সব ঠিক করে রাখবেন। পরীক্ষার হলে তো এমনিতে মোবাইল নিয়ে যাওয়া যায় না, তাই ঘড়ি নিয়ে রুমে ঢুকবেন এবং কর্তব্যরত হল পরিদর্শক বা হলের ঘড়ি দেখে আপনার ঘড়ির সময় ঠিক করে নিন।
যা না করাই ভালো
যে প্রশ্নটা ভালো পারেন, সেটি দিয়ে লেখা শুরু করুন। অনেকে প্রশ্নের ধারাবাহিকতার কথা চিন্তা করে মোটামুটি জানা প্রশ্নটা দিয়ে লিখতে শুরু করে দিন। দয়া করে, এটি করতে যাবেন না! এতে মার্কস বাড়ার চেয়ে কমার আশঙ্কা বেশি! রিভিশনের কথাটি মাথায় রাখবেন। অন্তত একবার হলেও উত্তরপত্রটা রিভিশন দেবেন। তাতে ছোটখাটো অনেক ভুল শুধরে নিতে পারবেন।
যে যাই বলুক ভাই.
তা যে যাই বলুক, আপনার কথা কিন্তু আপনাকে চিন্তা করতে হবে। এ চিন্তাটা যেন খুব বেশি না হয়। মানে দুশ্চিন্তা না হয়! পরীক্ষার সময় মাথা ঠান্ডা রাখতে পারলেই হয়। আর কখনও এ পরীক্ষাটিকে বাড়তি
চাপ বলে মাথায় নেবেন না। ক্লাস পরীক্ষার মতো ভেবে ভেবে ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষাটা
দিয়ে যান। u
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রস ত ত পর ক ষ র র দরক র আপন র র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
৪৭তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষার্থীদের জন্য পিএসসির যত নির্দেশনা
আগামী শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার আসনব্যবস্থা, সময়সূচি ও শিক্ষার্থীদের জন্য নানা নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে।
পিএসসি জানিয়েছে, ৪৭তম বিসিএসে অংশ নিতে মোট ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৭ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ৪৭তম বিসিএসে মোট শূন্য ক্যাডার পদের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৮৭। আর নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা ২০১। এই বিসিএস থেকে মোট ৩ হাজার ৬৮৮ জনকে (ক্যাডার ও নন–ক্যাডার মিলিয়ে) নিয়োগ দেওয়া হবে। এই বিসিএসে কিছু নতুন পদ যুক্ত হয়েছে।
সময়সূচি ও কেন্দ্র১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে পরীক্ষা। পরীক্ষাকেন্দ্র ৮টি। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ।
আরও পড়ুনইউনিমেট-শাবানা মাহমুদ-দেখার হাওর-বেন গুরিয়ান বিমানবন্দর-কী, জেনে নিন১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫পরীক্ষার্থীদের করণীয়১। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। ৯টা ৩০ মিনিটের পর কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না। পরীক্ষার্থীদের হলের নাম ও কক্ষ নম্বর আগেই মেসেজের মাধ্যমে তাঁদের মুঠোফোন নম্বরে প্রেরণ করা হবে।
২। সকাল ৯টা ৩০ থেকে ৯টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তরপত্র বিতরণ করা হবে। উত্তরপত্রের ৪টি সেট থাকবে, যেমন সেট # ১, ২, ৩ ও ৪। সকাল ১০টায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন১২ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫৩। পরীক্ষাকেন্দ্রে বইপুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক কার্ড/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বর্ণিত নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
৪। পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
৫। পরীক্ষায় মোট ২০০টি এমসিকিউ টাইপ প্রশ্ন থাকবে। পরীক্ষার্থী প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন, তবে ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ০.৫০ নম্বর করে কাটা হবে।
আরও পড়ুন৪৭ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি: শেষ মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসই আসল প্রস্তুতি১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫৬। প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন থেকে শ্রুতলেখক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কমিশনের মনোনীত শ্রুতলেখক ছাড়া অন্য কেউ শ্রুতলেখক হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য শ্রুতলেখকদের ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টার পরীক্ষার জন্য ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টার পরীক্ষার জন্য ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে।
পরীক্ষাকেন্দ্র ও নির্দেশনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন।
আরও পড়ুন৪৩তম বিসিএসের প্রশাসনে প্রথম শানিরুলকে ভাইভায় যেসব প্রশ্ন করা হয়েছিল ২৯ মে ২০২৪