খুলনায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
Published: 29th, April 2025 GMT
খুলনা মহানগরীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি জ্যোতির বন্ধু হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম।
তিনি বলেন, “ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় হুমায়ুন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হুমায়ুন প্রধান আসামি জ্যোতির বন্ধু। তিনি রূপসা ষ্ট্যান্ড রোডের বাসিন্দা আব্দুল মজিদের ছেলে।”
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে ছুরিকাঘাতে মসলা বিক্রেতা নিহত
৫১৭ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ, তালিকা প্রকাশ করবে আইন মন্ত্রণালয়
ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী ও মামলার বর্ণনা থেকে জানা যায়, খুলনা জেলার একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তিনি। দুই মাস আগে খুলনা সিটি করপোরেশন মার্কেটে নগরীর সুলতান আহমেদ রোডের হুমায়ুন কবির হিমুর ছেলে জ্যোতির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমালাপ শুরু হয়। পরে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
জ্যোতির যে আগে বিয়ে আছে তা ওই কলেজ ছাত্রী জানতেন না। জ্যোতি তাকে বিয়ের প্রলোভন দেন। গত ২৬ এপ্রিল তাকে নগরীর রূপসা ষ্ট্যান্ড রোডে বন্ধু জাহিদের পাঁচতলা ভাড়াবাড়িতে ডেকে নেন জ্যোতি।
বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন জ্যোতি। এরপর জ্যোতি তাকে ফোন করে তার অপর দুই বন্ধুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ দিতে থাকেন। রাজি না হওয়ায় ছাত্রীর সঙ্গে যোগযোগ বন্ধ করে দেন জ্যোতি। তাদের একান্ত সময় কাটানো মুহুর্তের কথা সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন জ্যোতি।
গত সোমবার রাতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে তিনি জ্যোতির বাড়ি সুলতান আহমেদ রোডে যান। সেখানে গেলে জ্যোতি তাকে রাস্তার ওপর ফেলে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। পরবর্তীতে এমন দাবি নিয়ে বাড়ির সামনে এলে তাকে হত্যার হুমকি দেন জ্যোতি। পরে ভুক্তভোগী বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ জ্যোতির বাড়িতে গিয়ে তাকে পাইনি। পরে পুলিশ রূপসা ষ্ট্যান্ডের ওই পাঁচতলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল জ ছ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা শহরের দক্ষিণ কবরস্থান পাড়ায় বাসা থেকে গুলশান আরা চমন (৬৫) নামে বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপার উপজেলার দামুদহ গ্রামের মৃত আবুক কাশেমের স্ত্রী।
আজ সোমবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
গাজীপুরে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ, নদীতে মিলল লাশ
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, শয়ন কক্ষের মেঝে থেকে গুলশান আরা চমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগনো ছিল। চমন হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী রেহেনা খাতুন বলেন, ‘‘দীর্ঘ সাত বছর বাসা ভাড়া নিয়ে চমন একাই বসবাস করছিলেন। তিন মাস আগে তিনি স্ট্রোক করলে তাকে উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে পরামর্শ দেওয়া, ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে। যেন প্রয়োজনে সাহায্য করতে যায়। কিন্তু উনি দরজা দিয়ে ঘুমাতেন।’’
বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তিনি পুলিশে খবর দেন।
গুলশান আরা চমনের ছোট বোন খুশি বলেন, ‘‘গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) চমনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার করে তাকে বাড়ি রেখে যাই। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।’’
ঢাকা/মামুন/বকুল