এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠা হলো না রোনালদোর
Published: 1st, May 2025 GMT
এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এলিট শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হলো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল-নাসরের। বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে সেমিফাইনালে জাপানের কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলের কাছে ৩-২ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হলো সৌদি ক্লাবটিকে।
আর প্রথমবারের মতো শেষ চারে জায়গা করে নেওয়া কাওয়াসাকি ইতিহাস গড়ল প্রথম সাক্ষাতে শক্তিশালী আল-নাসরকে হারিয়ে।
সৌদির আল ইনমা ব্যাংক স্টেডিয়ামে আয়োজিত সেমিফাইনালে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলেছে জাপানি দলটি। ম্যাচের ১০ মিনিটেই কাওয়াসাকিকে এগিয়ে দেন তাকসুয়া ইতো। তবে ১৮ মিনিট পর আল-নাসরকে সমতায় ফেরান সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড সাদিও মানে, পোস্ট কাঁপানো ডান পায়ের দারুণ শটে।
আরো পড়ুন:
মায়ামির স্বপ্নভঙ্গ, ইতিহাস গড়লো ভ্যানকুভার এফসি
রেফারিকে বরফ ছুঁড়ে ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ রুডিগার
তবে বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে, (৪১ মিনিটে) আবারও এগিয়ে যায় কাওয়াসাকি। এবার গোল করেন ইউটো ওজেকি। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলেন আকিহিরো ইয়েনাগা। পরে বদলি খেলোয়াড় আইমান ইয়াহিয়া একটি গোল ফিরিয়ে দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না রোনালদোর দলের জন্য।
যোগ করা সময়ে একাই চারবার গোলের চেষ্টা করেছিলেন রোনালদো। তবে সফল হতে পারেননি একবারও। ফলে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো তাকে।
এ জয়ের ফলে কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলে উঠে গেল ফাইনালে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হবে আল-নাসরেরই ঘরোয়া লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী আল-আহলি।
তিনবার সেমিফাইনালে পৌঁছেও এখনও এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠতে পারেনি আল-নাসর। যদিও এবার রোনালদোরা চেষ্টা কম করেননি। ম্যাচে তারা মোট ২১টি শট নেয়, যার মধ্যে ৬টি ছিল লক্ষ্যে।
রোনালদো একাই ৮টি শট নিয়েছিলেন। যার মধ্যে মাত্র ২টি ছিল লক্ষ্যে। এই আসরে যদিও তার গোলসংখ্যা দাঁড়ালো ৮-এ। একটি আসরে আল-নাসরের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড এটি। যা ২০২০ সালে আবদাররাজাক হামদাল্লাহর করা সাত গোলকে ছাড়িয়ে গেছে।
ক্লাব পর্যায়ে মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় রোনালদোর এটি সেরা মৌসুম নয়। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তিনি করেছিলেন ১৫ গোল।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
তাবিথের স্বপ্ন ও বাস্তবতা
নতুন দায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পর নিজেদের সাফল্য ও ত্রুটিগুলো তুলে ধরেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং তাঁর কমিটির সদস্যরা। গতকাল রাজধানীর একটি ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মতবিনিময় সভায় মন খুলে কথা বলেছেন তাবিথ। চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো–
বাজেট বরাদ্দ ও ট্যাক্স কমানো: বাজেটে ২ হাজার কোটির মধ্যে ৯০০ কোটি চলে যায় বেতন, মেইনটেন্যান্স, অপারেশনাল ও অন্যান্য বিষয়ে। বাকিটা উন্নয়নমূলক কাজে লাগে। অনেক কাঠামো পুরোনো, অকেজো। এখানে সংস্কারকাজ করে আর কতদিন। ক্রীড়া পণ্যের ক্ষেত্রে ৩৬ শতাংশ ট্যাক্স, এটা যেন বিবেচনা করা হয় এবং মওকুফ করা বা কমানো হয়। ভারতে এ ট্যাক্স মাত্র ১২ শতাংশ।
বাফুফে থেকে সরকারের কাছে সর্বশেষ ৩০ কোটি টাকার বাজেট চাওয়া হয়েছিল। এ কমিটি আসার পর আমরা তার কোনো পরিবর্তন করিনি। আমরা চেষ্টা করছি ৩০-৪০ কোটি বাজেটের কতটুকু আমরা নিজেরাই অর্জন করতে পারি বিভিন্ন স্পন্সরের মাধ্যমে, টিকিট থেকে আয়ের মাধ্যমে এবং ফিফা-এএফসির ডোনেশেনের মাধ্যমে। যে ব্যালান্সটা আমাদের দরকার পড়বে, সেটা আমরা সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ে নিব। আমি মনে করি ক্রীড়া সামগ্রীর ক্ষেত্রে যদি ট্যাক্স ১০ শতাংশ করা যায়, সেটা হবে সবচেয়ে ভালো।
অফ সিজনে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট: আমরা লিগের ব্যাপারে অনেক চিন্তাভাবনা করে রাখছি। পরবর্তী ২০২৫-২৬ যে লিগটা শুরু হতে যাচ্ছে, সেখানে অনেক বেটার কোয়ালিটি আসবে। ইতোমধ্যে এএফসিতে আবাহনী ও বসুন্ধরা খেলার অনুমতি পেয়েছে। বাকি যে ক্লাবগুলো আছে, তাদের যেন এএফসি লাইসেন্সিং হয়, সেই ব্যাপারেও কাজ করব। আমাদের ক্লাবগুলো যখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলে যাবে, তখন লোকাল লিগগুলোও আন্তর্জাতিক মানের হবে। তার পাশাপাশি অফ সিজনে কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট, কিছু অন্য দেশের প্রীতি ম্যাচ খেলা যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবছি।
স্ট্রাইকার হান্ট প্রজেক্ট: আমরা যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা ধরে রাখতে পারি, তাহলে অবশ্যই ভালো মানের স্ট্রাইকার বেরিয়ে আসবে। ফিনিশারদের জন্য আমরা গভীরভাবে দেখছি। আমরা একটা সফটওয়্যার ও জিপিএস ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছি। প্রতিটি ক্লাবের ফুটবলারকে আমরা অ্যানালাইস করব তাঁর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দিয়ে। কিছু কিছু খেলোয়াড়কে টার্গেট করে ওদের ক্লাবদেরকে প্রতিনিয়ত এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে তথ্যগুলো শেয়ার করতে বলব যেন কোচরা ওই প্লেয়ারের সঙ্গে আরেকটু বিশেষভাবে কাজ করতে পারে। স্ট্রাইকারদের ফিজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট– দুটোই লাগবে। চার-পাঁচ বছরের মধ্যে দেখবেন আমাদের ফরোয়ার্ড লাইনে ব্যাপক আকারে উন্নতি হবে।
ক্যাবরেরায় তাড়াহুড়া নেই: বাফুফের ‘মিট দ্য প্রেসে’ নির্বাহী কমিটির সদস্যের মধ্যে সর্বশেষ বক্তব্য দিতে গিয়ে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার পদত্যাগ চেয়ে সবাইকে অবাক করে দেন শাখাওয়াত হোসেন ভূইয়া শাহিন। তাঁর মন্তব্যের পরই ক্যাবরেরাকে নিয়ে অনেকবারই প্রশ্ন শুনতে হয়েছে তাবিথ আউয়ালকে। সেই উত্তরও দিয়েছেন তিনি, ‘কোচ নিয়ে প্রশ্নগুলো খুব প্রিম্যাচিউর। আমার মন্তব্য করাটাও প্রিম্যাচিউর। যখন আমরা নিয়মিত রিভিউ অ্যাসেসমেন্ট শেষ করব, ওই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে প্রশ্নগুলো আসতে পারে। তার পরে আপনাদের প্রশ্ন নেওয়া যাবে এবং উত্তরও দেওয়া যাবে।’