ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় পুকুরে গোসল করার সময় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২ মে) দুপুরে উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের হাটপুকুর মোহাম্মদ আলী মিয়াজী বাড়ির পুকুরে ঘটনাটি ঘটে।
মারা যাওয়া শিশুরা হলো- সাইফুল ইসলামের ছেলে নাফিস (৯) ও নেজাম উদ্দিনের ছেলে ইয়াছিন (৭)। তারা চাচাতো ভাই।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে পরিবারের পুরুষরা মসজিদে গেলে নাফিস ও ইয়াছিন গোসল করতে পুকুরে নামে। পরিবারের সদস্যরা তাদের খুঁজে না পেয়ে পুকুরে তল্লাশি চালান। একপর্যায়ে তাদের অচেতন অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধার করেন তারা। পরে দুই শিশুকে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক শিশুদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
যশোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.
দাগনভূঞা থানার ওসি ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ গনভ ঞ পর ব র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
৮ ঘণ্টা পর দুই বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারভিটা সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া দুই বাংলাদেশিকে ফেতর দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
ফেরত দেওয়া বাংলাদেশিরা হলেন, বগুড়া জেলার মহাস্থান গড় বকুল তলা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে সাজেদুল ইসলাম (২২) ও পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের রহমানপুর গাটিয়ারভিটা এলাকার মোস্তাফিজ হোসেনের ছেলে মাহফুজ ইসলাম ইমন (১৬)। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগিনা।
শুক্রবার ৮ ঘণ্টা পর রাত দুইটার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট দিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেওয়া হয়।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮২৫ নম্বর মেইন পিলারের ১ নম্বর সাবপিলার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার এপাশে থাকা ভারতীয় চা বাগানে টিকটকের ভিডিও বানানোর সময় ওই দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে বিজিবির আহ্বানে তাদের ফেরত দিতে সম্মত হয় বিএসএফ।
ইমন ও সাজেদুলের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানিয়েছে, বিএসএফ ওই দুজনের সঙ্গে কোনো দুর্ব্যবহার করেনি। দেশে আসার পর তাদের স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।